রফিকুল ইসলাম ভাইয়ের শুন্যতায় আমি

 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ-

জিকু, কেমন আছো ভাই? আমি ঢাকায়। তোমার সঙ্গে দেখা হবে কখন? কত দিন দেখিনা। আমাদেরকে কি ভুলে গেছো ?………………হয়তো আমাকে বেশি ভালোবাসতেন বলেই এমন প্রশ্ন। এই ভালোবাসার টানে আমার খোঁজ রাখতেন দ্বীপজেলা ভোলার- পশ্চিম বাপ্তা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ভাই। ভোলাবাসীর প্রিয় মুখ। সোমবার গভীর রাতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সবকিছু কেমন এলোমেলো হয়ে স্মৃতির জানালায় উঁকি দিয়ে যাচ্ছে সবার।বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে তিনি আর বেঁচে নেই। আর আসবেন না। আসবেন না এই পৃথিবীতে। খোঁজ নিবেন না আমার। কিংবা আমার মতো তার রেখে যাওয়া ভক্তদের। আচরণে তিনি ছিলেন ছোটদের মতোই সরল, নিষ্পাপ। শিশুদের মতোই মানুষকে ভালোবাসতেন। শত্রু-মিত্র সবাইকে বিশ্বাস করতেন। এমন মানুষের তারাতারি চলে যাওয়ায় , সত্যিই অনেক কষ্ট পেলাম। ২০০৭ সাল থেকে পরিচয়। দেখা হলে চা কিংবা কোক না খাইয়ে ছাড়তেন না। সব সময় হাসি মুখে থাকতেন। এখনো চোখের সামনে তার হাসিমাখা মুখ ভেসে উঠে।কোন কাজে ঢাকায় আসলে দেখা করতে চাইতেন। কখনো দেখা মিলতো। আবার কখনো হাতে কাজ থাকলে দেখা করতে চাইতাম না। সারাজীবনের জন্য তো আর দেখা হবে না।খুব কি তাড়া ছিলো রফিকুল ইসলাম ভাই। মানুষ বলবে আপনি নেই। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই না। সবসময় যত্নশীল, মনোমুগ্ধকর এবং ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসেবে আমার হৃদয়ে ও স্মৃতিতে থাকবেন আপনি। যখন লিখছি, ঠিক তখনও আপনার মুখের হাসির কল্পনার রাজ্যে আমি। বিদায় রফিকুল ইসলাম ভাই। সৃ্ষ্টিকর্তা তোমাকে জান্নাতের বিশেষ স্থানে রাখুন। সবসময় আপনার শুন্যতা অনুভব করবো। একদিন সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমি নিরুদ্দেশে আসবো। হয়তো তখন দেখা হবে। আবার দেখবো আপনার হাসিমাখা মুখ।

SHARE