মোবাইল চুরি ও পুলিশের ভয়ে বোরহানউদ্দিনে জান্নাতের প্রান বিসর্জন।।

বিশেষ প্রতিনিধিঃমোবাইল চুরি ও পুলিশ দিয়ে পিটানোর ভয় দেখিয়ে বোরহানউদ্দিনে গৃহ পরিচারিকাকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করেন রহিজল আমিন। অপমান ও পুলিশের ভয়ে বিষ পান করে আত্নহত্যা করেন গৃহপরিচারিকা জান্নাত।ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে হাজী জসিম মিয়ার বাসার গৃহ পরিচালিকা জান্নাত (২০) বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রহিজল আমিন গত ২৯ জুলাই মোবাইল চুরির অপবাদ দেয় গৃহকর্মী জান্নাতকে। চুরির অপবাদ দেওয়ায় গত ১ আগস্ট বিকালে বিষপান করে ওই গৃহপরিচারিকা। পরে তাকে লালমোহন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। তার চিকিৎসার উন্নতি না হলে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কতব্যরত চিকিৎসক। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সেখানে পোস্টমর্টেম করে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তানান্তর করা হয়। মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার সময় ওই গৃহপরিচারিকা জান্নাত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে তিনি বিষপান করেন। ভাড়াটিয়া রহিজল আমিন তাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়। তার মৃত্যু হলে রহিজল আমিনের যেন বিচার হয় এমন দাবিও করেছেন মোবাইল বার্তায় জান্নাত।ওই গৃহপরিচারিকার স্বামী সজিব জানান, আমার স্ত্রী জান্নাতকে মোবাইল চুরির অপবাদ দেয় ভাড়াটিয়া রহিজল আমিন। এনকি মোবাইল ফেরত না দিলে পুলিশ দিয় বেধে পিটানোর কথাও বলে জান্নাতকে। পরে ভয়ে ও অভিমান বিষপান করে জান্নাত। বরিশাল চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় জান্নাতের। রহিজল আমিনের বিচার দাবী করেন তার স্বামী।বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন ফকির (বিপিএম) জানান, মোবাইল চুরির অপবাদে বিষপান করেছে । বরিশাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

SHARE