ঢাকা শহরের মশা নিয়ে রাগ-ক্ষোভ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের চুটকিও প্রচলিত রয়েছে। সেই ঢাকা শহর থেকে এখন অনেক দূরে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। সেখানেও মশা তার দলকে ছাড়েনি! মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাকিবদের আজকের প্রতিপক্ষ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বেচার মুস্তাফিজের অবস্থাও করুণ! আজকের ম্যাচের আগে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক মাঠে অনুশীলনে গিয়েই তাদের পালানোর মতো অবস্থা ।
সাকিবরাতো নিজেদের শহরেই আছে। মশার সঙ্গে হয়তো বন্ধুত্বও হয়ে গেছে। মঙ্গলবারই রোহিত শর্মারা পৌঁছে যান স্টেডিয়ামে। সেখানে ড্রেসিংরুমে ঢুকে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মশায় ভর্তি হয়ে আছে ড্রেসিংরুম। বসা তো দূরের কথা, দাঁড়ানোর উপায় নেই! দলের পক্ষ থেকে মাঠের কর্মীদের কাছে মশা মারার র্যাকেট চেয়ে পাঠানো হয়। কয়েকটি র্যাকেটের ব্যবস্থাও হয়ে যায় দ্রুত। তা দিয়ে মশা মারতে নেমে পড়েন রোহিতরা। ব্যাট হাতে মাঠে নামার আগে মশা মারার ব্যাট দিয়ে অনুশীলন।
দুর্দশার এখানেই শেষ নয়। এর পর মাঠে নেমেও মশার অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় ক্রিকেটারদের। কেউ একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে পর্যন্ত থাকতে পারেননি। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এমন পরিস্থিতি দেখে। এক কর্মকর্তা তো মিডিয়ার সামনে বলেই ফেলেন, ‘মশার কামড় থেকে নানা রকম রোগ হচ্ছে সারা দেশে। কিছু একটা হয়ে গেলে কে দায়িত্ব নেবে? ওডোমস আনতে বলে দিয়েছিলাম কালই। সেটা ফিজিওর ব্যাগে থাকছে। সারা গায়ে মেখে নামছে আমাদের ক্রিকেটাররা।’
এমন অব্যবস্থার জন্য হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। এমনিতেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হায়দরাবাদ সংস্থার একাধিক কর্তাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে কারা যে সংস্থার কাজ পরিচালনা করছেন, তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই হায়দরাবাদের কর্তাদের কাউকেও পাওয়া যায়নি এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন, সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষই বা মাঠের পরিচর্যার দায়িত্ব নেবেন না কেন? তারাই তো আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং এই মাঠ সানরাইজার্সেরই ঘরের মাঠ।