মনপুরায় রোগীকে যৌন নির্যাতন ঘটনার তদন্ত ১৮মে -সিভিল সার্জন

############
আমজাদ হোসেন#
মনপুরায় রোগীকে যৌন নির্যাতন ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত প্রতিনিধি টিম আগামী ১৮মে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ডালি।

উল্লেখ মনপুরা উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক CHCP ফয়সাল নারী রোগীকে যৌন নির্যাতন সহ বেশ কয়েকটি দূর্নীতির ঘঠনায় অভিযুক্ত করে কয়েকজন এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক নিকেট অভিযোগ দায়ের করেন।

এছাড়াও ইতোপূর্বে ওই নারী রোগীকে যৌন নির্যাতনে ও সরকারি ঔষধ বিক্রয়ের অভিযোগ করে গত ১২ তারিখে ঘঠনার বিবরণ দিয়ে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উক্ত ঘঠনার বিবরনে ভুক্তভুগী মনপুরা ঈশ্বরগঞ্জ কমিনিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ফয়সান বিগত ০৩ মে ২০২০ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ১১ টার সময়, তার ক্লিনিকে একজন অসহায় মহিলা ঔষধ এবং চিকিৎসার জন্য গেলে সে মহিলার কাছে নগদ টাকা দাবি করে মহিলা টাকা নাই বলে জানান তখন সেই মহিলাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকেন ফয়সাল হাওলাদার। মহিলা তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া ক্লিনিকের রুমের দর্জা বন্ধ করে দিয়ে মহিলার সাথে দস্তাদস্তি শুরু করেন,তার কাছ থেকে মহিলাটি কোন মতে ছুটে চলে আসেন।

পরবর্তীতে এই বিষয়টি মহিলা মৌখিক ভাবে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাবা মিসেস সেলিনা আক্তার চৌধুরীকে জানান,এবং মনপুরা ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর কে জানানো হয় তখন তিনি বলেন লিখিত ভাবে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানানোর জন্য।

মহিলা গত ১২ঃ০৫ঃ২০২০ ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জনাব মাহমুদুর রশিদ কে জানান,তার পরিপেক্ষিতে আজ সকাল তথা ১৩ঃ০৫ঃ২০২০ ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে তদন্ত আসার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটা নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ পেয়ে আসামি ফয়সাল হাওলাদার বাদি পক্ষের স্বামীর হাত পা ধরে অত্র ঘঠনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।।

বেশ কয়েকজন ভোক্তভোগী জানান,ফয়সাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ রকম বিগত দিনে এমন কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারনে আরো একবার সাময়িক বহিস্কার করা হয়,

এদিকে এলাকার সাধারণ জনগন জানান তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি,আমরা মনপুরা ১নং ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ তার বিচার চাই এবং তার বিরোদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা ও অপসারণ জোর দাবী জানিয়েছেন এবং জনগন দাবী করেন এর আগেও চিকিৎসক ফয়সাল এ ধরনের ঘটনায় ৩ মাস সাময়িক
বহিষ্কার ছিলেন।

আজ এ বিষয়ে সিভিল সার্জন,ভোলা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তদন্ত টিম গঠনের করে আগামী ১৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছি।।

এ বিষয়ে মনপুরা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদ রশিদ জানান, আমি এ বিষয়ে তদন্তের টিম গঠন করেছি, প্রতিবেদন পেলে দূরুত্ব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।

এ বিষয়ে উক্ত ক্লিনিকের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোসারেফ হোসেন জানান CHCP ফয়সালের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও এ ধরনের অভিযোগে ৩ মাস সাময়িক বহিষ্কার ছিলেন।।

তবে বিষয়টি নিয়ে ফয়সাল হাওলাদারের মুঠো ফোনে ভোলা নিউজকে জানিয়েছেন বিষয়টি তুচ্ছ গঠনা আমাকে ফাঁসতে এ ধরনের ঘটনা তৈরি করা হয়েছে।

SHARE