আল-আমিন এম তাওহীদ-ভোলানিউজ.কম,
ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ফরিদের নেতৃত্বে অসহায় জেলেদের ট্রলারে অগ্নিসংযোগ, হামলা চালিয়ে ৫টি দোকান ভাংচুর , এবং আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন কবীরসহ ১৫ জনকে পিঠিয়ে আহত করেছে । আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩০মে) দুপুর ২টার দিকে, মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়, যুবলীগ নেতা ফরিদ দুপুরের দিকে ৫০টিরও বেশি মটরসহ এলাকায় এসে প্রথমে ফারুক কোম্পানীর মাঝিরঘাটে ভাংচুর ও হামলা চালায়। এরপরে ৫টিরও বেশি দোকান ভাংচুর করে এবং ঘাটে রাখা জেলেদের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আওয়ামীলীগ নেতা হাজিরহাটের ব্যবসায়ী মোঃ হুমায়ন কবীরকে দোকান থেকে বের করে রাস্তার উপর পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।এতে বাধাঁ দিলে তাদেরকেও পিঠিয়ে আহত করে।
আহতরা জানান, দুপুরের দিকে ফরিদসহ প্রায় ৫০জনেও বেশি লোক মটর সাইকেলে এসে হঠাৎ এলাকায় ঢুকে ফারুক কোম্পানীর মাঝিরঘাট ভাংচুর, দোকান, জেলেদের ট্রলারে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর শুরু করে এবং আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন কবীরকে দোকান থেকে বের করে পিঠিয়ে আহত করেন। এসময় আমরা বাধাঁ দিলে আমাদের উপরও সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এই হাজিরহাট ঘাট থেকে ফরিদ চাদাঁ দাবী করে আসছিলো । তাকে চাদাঁ না দেয়ার কারনে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আমাদের ১৫জনেরও বেশি লোকের উপর হামলা চালায়।
আহতরা হলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হুমায়ন কবীর, ফারুক কোম্পানী, মঞ্জু, মাইনুদ্দিন, মহিউদ্দিনসহ ১০জন।
যুবলীগ নেতা ফরিদের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি। তবে মনপুরা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন জানান, ফারুক কোম্পানীর বাসায় আসছি তার স্ত্রী ছেলে সন্তানের সাথে কথা হয়েছে সবাইকে বলছি আপনাদের ভয় নেই শান্তিতে বসবাস করেন।
এবিষয়ে হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিপক চৌধুরী জানান, এরকমের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে মনপুরা থানার ওসি মোঃ শাহিন বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
(আল-এম, ৩০মে-২০১৮ইং)