মেহেদী হাসান, ক্রাইম রিপোর্টারঃ-
ভোলার মনপুরা থানা জি.আর ৪৮/২৪ মামলার বাদী ছানাউল্লাহ ও তার পরিবারকে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছানাউল্লাহ ও স্থানীয় এলাকাবাসী। তথ্যসূত্রে দেখা যায়, স্থানীয় এলাকায় বাড়ির রাস্তাকে কেন্দ্র করে গত ২১ জুন ২০২৪ ভুক্তভোগী ছানাউল্লাহ ও তার পরিবারের মোট ৬ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আসামী শরিফ মাঝি গং, এ সংক্রান্ত মনপুরা থানায় জি.আর ৪৮/২৪ মামলা মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল কোর্টে চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে উল্লেখিত মামলাটি উত্তোলনের জন্য শরিফ মাঝি গং স্থানীয়ভাবে ব্যাপক অপচেষ্টা চালায়। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে উল্লেখিত শারসীট ভুক্ত মামলার প্রধান আসামী শরিফ মাঝি তার স্ত্রীকে বাদী করে ৮/১০/২৪ইং তারিখে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি হয়রানি মূলক ধর্ষণ চেষ্টা (নারী শিশু – ৭৯৩/২৪) দায়ের করেন এবং আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার, ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই), বরিশালকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার(পিবিআই) বরিশাল, নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হবে ।
হয়রানি মূলক মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফ মাঝিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ছানাউল্লাহের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর ধর্ষণ চেষ্টা মামলাটিকে মিথ্যা বলে অভিযোগ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান। মনপুরা থানা জি.আর ৪৮/২৪ মামলার আসামী ৩জন জামিনে ও বাকি ৩জন পলাতক রয়েছেন। মূলত উক্ত মামলাটির বাদী ছানাউল্লাহ ও তার পরিবারকে চাপে ফেলতে তদন্তধীন ধর্ষণ চেষ্টা মামলাটি দায়ের করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান