টিপু সুলতান#
ভোলার মনপুরা,চরনিজাম,চরকলতলী,চরজহিরউদ্দিন, চর কুকরি মুকরি ও নিঝুমদ্বীপ সহ সকল উপকূলের ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছে বলে জানা যায়।
বিভিন্ন স্বেচ্ছসেবী সংগঠনগুলো এরই মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) মধ্যরাত এবং শনিবার ভোর থেকে ভোলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এসে জড়ো হচ্ছেন উপকূলের মানুষজন।প্রচারণার পর মূল ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন এলাকার বাসিন্দারাও আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন।কলাতলি ঢালচর চরনিজাম ও চরপাতিলাসহ বেশকিছু চরের মানুষ রাতেই চলে আসেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
এ ছাড়াও নদীর তীরবর্তী এলকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে জড়োহচ্চেন।এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ো বাতাসের সংগে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি পাত হয়েছে।জেলা জুড়ে ১৭.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্চে।সন্ব্যা নাগাদ ঝড়টির আঘাত হানতে পারে।
তবে ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ভোলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৬৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
গঠন করা হয়েছ ৯২টি মেডিক্যাল টিম। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ১০ লাখ টাকা ২০০ মেট্রিকটন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ হয়েছে।