বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর হাসপাতালে বহিরাগত এম্বুলেন্স মালিকদের অবৈধভাবে ব্যবসার পাশাপাশি চলছে এম্বুলেন্স মালিকদের ড্রাইভার ও হেলপারদের সমন্ময়ে চুরি,ছিনিতাই ও মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড জরিত থাকার অভিযোগ উঠেছে জনমনে।
অসুস্থ হলে, ধনী থেকে গরিব সবার চিকিৎসা সেবা পেতে আশ্রয়স্থল হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল। আর সেই চিকিৎসাসেবা নিতে এসে সাধারন জনগন প্রতিনিয়ত স্বিকার হচ্ছেন চুরি,ছিনিতাই সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির।
এ’বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়,হাসপাতালে চাকুরি করা কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী সাথে বহিরাগত এম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সাথে একত্রিত হয়ে এম্বুলেন্স ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। আর তাদের এই ব্যবসার সুবাদে বেতনভুক্ত কিছু অসাধু ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে নিত্যই বহিরাগতদের আগমন ঘটে হাসপাতালে। যার কারনে চুরি,ছিনিতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমমুলক কাজের ভুক্তভোগী হয়রানির স্বিকার হচ্ছেন রোগিসহ রোগির স্বজন ও সাধারন মানুষ।
তথ্যসূত্র জানা যায় এম্বুলেন্স ব্যবসা ২৪’ঘন্টা সার্ভিস চালু থাকার সুবাধে হাসপাতালে দিন রাত অবস্থান করার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে অসংখ্য বহিরাগত। যার ফলেই প্রতিনিয়ত ভোলা সদর হাসপাতালে ঘটছে এই সকল অপরাদমুলক কাজ।
এছাড়া প্রায় চুরি হচ্ছে রোগিদের দেখতে আসা স্বজনদের মটর বাইক,সাইকেল এমনকি প্রায় চুরি হচ্ছে রোগিদের নগদ অর্থসহ মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ আতংকে সবাই।
এ’ব্যাপারে তথ্যদি নিতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে অজানা গোপন কিছু তথ্যাদি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুরির ঘটনার এক বর্ননা দিয়ে বলেন- ভোলা সদর হাসপাতালে এম্বুলেন্স ড্রাইভার ও হেলপারের কাছে জানা যায় অজানা সেই চুরির রহস্য বর্ননা দিয়ে তারা বলেন-ভোলা সদর হাসপাতালে
২৪ঘন্টা এম্বুলেন্সের সার্ভিসের সুবিদার্থে কিছু এম্বুলেন্স ড্রাইভার ও হেলপার এইসকল চুরি ও অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে জানান তারা।
তারা বলেন,কখনো দিনের বেলায় আবার কখনো বা রাতের বেলায় এম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সাথে হাসপাতালে প্রবেশ করেছে কিছু বহিরাগত চোরের একটি চক্র।
অঃতপর হাসপাতালে প্রবেশ করে তাদের সাথে জড়িত রয়েছে কিছু বহিরাগত এম্বুলেন্স মালিকদের ড্রাইভার ও হেলপার।
এদের যোগসাজশে সন্মলিত হয়ে রাতের বেলা হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে এবং সুযোগ সৃষ্টির ফলে প্রায় রোগিদের বেড থেকে নগদ অর্থ সহ মোবাইল ফোন চুরি করে বলে জানা যায়। আবার কখনো কখনো এই চক্রটি এম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সহোযোগিতা নিয়ে হাসপাতালে রোগি দেখতে স্বজনদের মোটর বাইক,সাইকেল,এমনকি
বোরাক চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে গত দুইদিন আগেও ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে রাতের বেলা রোগি দেখতে আসা একব্যক্তির একটি মোটর বাইক চুরি হয়। তার পরের দিন ফের একটি বোরাক চুরির ঘটনা ঘটে।
এমন প্রশ্নে জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমি দেখেছি অমুক এম্বুলেন্স ড্রাইভার ও হেলপারকে চুরির মালের টাকা পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে মোবাইল ফোনে বহিরাগত চোরদের আলাপচারীতা করার কথা। তাদের মতে তারাই এই ঘটনায় সাথে জরিত রয়েছে বলে ইংগিত করে সাংবাদিকদের এসব বলেন। এছাড়া তারা আরও বলেন চোরদের এইসমস্ত চুরির মালামাল বিক্রয়ের পর একটি বড় অংশের টাকার ভাগ পান এইসকল অসাধু এম্বুলেন্স ড্রাইবার ও হেলপার কেউ কেউ বলে তথ্যতুলে ধরেন।
এদিকে বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের দক্ষিন পাশে প্রায় ৪০টি মালিকানাধীন এম্বুলেন্স পার্কিং করা থাকে। কিন্তু সেখানে সরকারি এম্বুলেন্স ২টির উপস্থিতি চোখে না পড়ার মতই। কখনো এই এম্বুলেন্স এর ড্রাইভার ও হেলপার ২৪ঘন্টা এম্বুলেন্স এর ভিতরে তাদের বিস্রাম নিয়ে অলস ভাবে সময় কাটান বলে জানা যায়।এবং এম্বুলেন্স এর ভিতরে বসেই মাদক সেবন সহ চুরির মত বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজের প্লানিং করে বলেও জানা যায়।
এ’বিষয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডঃ রথিন্দ্রনাথ মজুমদার আগের মতই জানান,সরকারি এম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সতর্ক করে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর বহিরাগত ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে তিনি উদ্ভেগ প্রকাশ করে বলেন,এরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কতৃপক্ষের নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শীগ্রই জেলা প্রশাসকের আইন শৃংখলার মাসিক মিটিংয়ে বহিরাগত এম্বুলেন্স ব্যবসা উচ্ছেদের আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
তবে এর আগেও এই অবৈধ এম্বুলেন্স ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে মিডিয়া সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর প্রশ্ন উঠলে একই কথা বলেন তিনি।
তবে বছর খানিক পেরিয়ে গেলেও এইসকল অপরাদ দমনে ও অবৈধ এম্বুলেন্স ব্যবসা বন্ধের জন্যে এবং বহিরাগতদের প্রবেশের দমনে নেওয়া হয়িনি কোনরুপ কার্যকর উদ্যোগ বা আইনানুগ কোন সু,ব্যবস্থা।
যার কারনেই ভোলা সদর হাসপাতালে এখন নিত্যদিন বেরেছে চলছে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজ। এছাড়া পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বহিরাগত এম্বুলেন্স এর রমরমা ব্যবসা।
যার দরুন সু্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে কিছু অসাধু ড্রাইভারদের সাথে নিত্যই হাসপাতালে প বহিরাগত চোরদের প্রবেশের আনাগোনা। ফলে প্রায় চুরি,ছিনিতাই ও হয়রানির স্বিকার হচ্ছেন অসহায় রোগিসহ রোগিদের দেখতে আসা স্বজনেরা।
কবে শেষ হবে এই অবৈধ এম্বুলেন্স ব্যবসা। সাধারন মানুষ শান্তিপুর্ন ও নিঃভয়ে হাসপাতালে আসবে এবং তাদের যাবতীয় মালামালের নিরাপত্তা পাবে। সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা ভোলা সদর হাসপাতালে রোগী সহ ভোলার সাধারন জনগন।