নুরউদ্দিন আল মাসুদ
গত ২৮ই সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জনাব টিপু সুলতান।অধ্যক্ষ টিপু সুলতানের আর্তনাদমূলক বাণী ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য দেয়া হল। “আমি ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সস্ত্রীক করোনা পজিটিভ হয়েছি। গতদিন আমার সন্তান সহ মোট তিনজনকে পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হসপিটালে গেলে সেখানে সেম্পল সংগ্রহকারীদের আর্থিক দৌরাত্ম্যে চিত্র খুবই দুঃখজনক হিসেবে চোখে পড়ে।টাকার বিনিময় পরীক্ষা এবং বেশি টাকা দিলে দ্রুত সিরিয়াল দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি দুঃখের বিষয় যে, গত দিন আমার সন্তান, শশুর, ছোট বোনসহ পরীক্ষার জন্য দিয়ে আসলে আমাদেরকে রাতে এনএসআই থেকে বলে পজিটিভ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন মেসেজ না পাওয়াতে আমি RMO’র সাথে আলাপ করলে উনি আমার সাথে মিস বিহেভ করেন এবং করোনা ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত মহাসিন এবং মেহেদী হাসান নামে দুই ভদ্রলোক আমাকে আজকে ৪ তারিখ সকালে হসপিটাল দেখা করতে বলে। আমি আমার ফলোআপ টেস্টসহ আর বাকি পাঁচ সদস্যের পরীক্ষার জন্য হসপিটালে গেলে করোনা ইনচার্জ মহাসিন সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলে উনি আমার সাথে উনার রুমের ভিতর বাজে আচরণ করেন এবং রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তেজিত কণ্ঠে বেরিয়ে যেতে বলেন। ব্যাপারটি আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এনএসআই সদস্য, জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় কে অবহিত করেছি। আমার স্ত্রী অক্সিজেনরত অবস্থায় বাসায় চিকিৎসাধীন, ছেলেটার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা পরিবর্তে উনাদের উত্তপ্ত আচরণ আমাদের কে চিকিৎসাসেবার প্রতি অনীহা করে তোলাটা লজ্জাস্কর বলে মনে করি। আমি ভোলা সদর হসপিটালের দায়িত্বরত করোনার ইনচার্জ মহাসিন সাহেবের সাথে ২৭ বার ফোন করো তাকে না পেয়ে আরএমও সাহেবকে অভিহিত করলে ব্যাপারটি উনি আমাকে সান্ত্বনা স্বরূপ জানান আমি দেখছি ব্যাপারটি। এখন পর্যন্ত আমরা কোন চিকিৎসা সেবাসহ অনলাইন মেসেজটি পাইনি। আমি সিভিল সার্জন মহোদয়কে ব্যাপারটি কয়েকবার জানাবার চেষ্টা করেছি সকালে তাতেও সম্ভব হয়নি। ওনার ফোন ইন্যাক্টিভ পাওয়া যায়।