মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ
দ্বীপ জেলা ভোলা বাসী দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাহন গ্রীন লাইন নিয়ে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। ভোলার লঞ্চ মালিকদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে ভোলার একশ্রেণীর লঞ্চ মালিক অসাধু চক্র সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছে।
তারা বিআইডব্লিউটিএ’র অসাধু কিছু কর্মকর্তা এবং পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে তাদের অবৈধ লঞ্চ ব্যবসা চালাচ্ছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন ভোলা খেয়াঘাট থেকে যে লঞ্চগুলো রোটেশন পদ্ধতিতে চালাচ্ছে সেগুলোতে জনসাধারণের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে। লঞ্চ মালিক চক্র তাদের নির্ধারিত ভাড়া না দিলে যাত্রীদের ওপর তাদের ক্যাডার লেলিয়ে দিয়ে নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রমতে লঞ্চের কেবিনের ভাড়া যেখানে চৌদ্দশ টাকা, সেখানে এবং সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৮ শত টাকা সেখানে ২২ শত টাকা করে জোরপূর্বক আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় সাধারণ যাত্রীদের প্রতিনিয়ত জুলুম নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে লঞ্চ মালিক চক্রের পেটোয়া বাহিনী। তাদের দীর্ঘদিনের জুলুম নির্যাতনের খড়গ থেকে মুক্তি পেতে জনগণের দাবি করছিল ভোলা থেকে ঢাকা যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্তা।
যাত্রীদের নানাদিক ও দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ভোলা জেলা প্রশাসন ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবার ভোলা ঢাকা রুটে দ্রুতযান গ্রীনলাইন চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ লাইন চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন দ্বীপ জেলা ভোলার বিশ লাক্ষ মানুষ। এদিকে ভোলা ঢাকা রুটে গ্রীনলাইন যেন চালু না হয় তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ভোলার অসাধু ওই লঞ্চ মালিক চক্রের দুর্বৃত্তরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি জানান, মালিকদের সন্ত্রাসীরা যেকোনো মূল্যে গ্রীন লাইন সার্ভিস প্রতিহত করতে সচেষ্ট রয়েছেন। তবে ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই গ্রীন লাইন সার্ভিস চালু হবে। সূত্রমতে ভোলার লঞ্চ মালিকদের রোটেশন প্রথার বিরুদ্ধে সাধারণ যাত্রীরা মামলা করে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করলেও আইনের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে ভোলার লঞ্চ মালিক চক্র। আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা কাগজে আটকে থাকলেও অবৈধ রোটেশন প্রথা সেই লঞ্চগুলো নদীতে এখন চলছে দিব্যি।