নিউজ ডেস্ক।।
ভোলা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম নাহিদসহ ২জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১জনকে বরিশালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে চিকিৎসক।
ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক নাহিদ বলেন, দৈনিক কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যকালে সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সুলতান আওয়ামীলীগের দোষরদের পক্ষে কথা বললে আমি তার প্রতিবাদ করি। এ সময় কোন কিছু না বুঝার আগেই এনটিভির প্রতিনিধি আফজাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করেন। আমি প্রতিবাদ করলে অন্য সহকর্মীরা আমাদের ২জনকে শান্ত করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর আফজাল হোসেন টেলিফোনে তার শ্যালক মোঃ আলীসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী এনে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে এবং আমার শ্যালক একটি অনলাইন পত্রিকার প্রতিনিধি জাফর ইকবালকে আহত করেন। পরবর্তীতে আমাকে এবং আমার শ্যালক জাফরকে অন্যান্য সহকর্মী সাংবাদিকরা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। জাফরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠিয়েছে চিকিৎসক।
এ বিষয়ে আফজাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভোলার কমর্রত গণমাধ্যম কর্মীরা।
এদিকে দুপুরের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর সন্ধ্যায় এক জরুরী সভায় বসে ভোলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি। এ সময় ভোলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকল বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া আফজাল হোসেন যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তার এই অপরাধের কারণে ভোলা প্রেসক্লাব থেকে তাকে আজীবনের জন্য স্থায়ীভাবে বহিস্কারেরও দাবী জানিয়েছেন বক্তারা।
ভোলা সদর মডেল থানার এস আই সোহেল জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।