ইয়ামিন হোসেনম
ভোলা নিউজ-১৩.১১.১৮
ভোলা জুড়ে সাপের আতংকে রয়েছেন সাদারন মানুষ। সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন ও রাজাপুরে ২০ দিনে বিষাক্ত সাপের কামড়ে নিহত ২, আহত হয়েছে তিনজন। রাছেল ভাইপার উদ্ধার করেছে এক লাকরির দোকান থেকে। রাজাপুরের বসতঘরে পেয়েছে বিষাক্ত সাপের বাসা। সেখান থেকে ৩৫টির বেশি সাপ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
সূত্রে জানা যায়,গত (২২ অক্টোবর) ভোলা সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের মোতাছিন মাঝি বাড়ির মোঃ মোতাছিন মাঝির ছেলে ২ সন্তানের জনক নাছির মাঝি (৩৫) গৃহপালিত পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে এক বিষাক্ত সাপের ছোবলে নিহত হন।
তার ৫ দিনের মাথায় গত (২৮ অক্টোবর) রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ সাপের আক্রমণের শিকার হয়ে নিহত হন তারই প্ররতিবেশি ৩ সন্তানের জননী বকুল বেগম (৫০)। তার ১২ দিনের মাথায় আবার ও সাপের কামড়ের শিকার হন স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুমী আক্তার (১১) এবং (১২ অক্টোবর) আবারও এক বিষাক্ত সাপের ছোবলে ঘুমের ঘরে গুরুত্ব আহন হন শাহিন (১৫) নামের এক কিশোর।
গত( ১১ অক্টোবর) রাজাপুরের ০৮নং ওয়ার্ডের চর মনসা গ্রামের নুরুল মাষ্টার বাড়ির মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মুন্সির ছেলে শাহীন কে রাত ১১ টার দিকে ঘুমের ঘরে ছোবল দেয় এক বিষাক্ত সাপ।
পারিবারিক সূএে জানা যায়, শাহিন প্রতিদিনের মতো গত কাল রাতেও ঘুমের ঘরে ঘুমাতে যান। ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ এক বিষাক্ত সাপ তার বা চোখের উপরে ও নিচে ছোবল দেয়।
বর্তমানে শাহিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহেছে বলে জানা গেছে।
ইলিশা জংশন বাজারের এক স্কুল শিক্ষক জানান, হঠাৎ সাপ আর্তকে রহেছি আমরা, আর্তক থাকবে না কেনো রাছেল ভাইপার উদ্ধার হয়েছে ইলিশা জংশন বাজারের এক লাকরির দোকান থেকে এবং রাজাপুরের ৭নং ওয়ার্ডের এক বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০/৩৫টি সাপ এবং গত বছর পুরো জেলায় আলোরন সৃষ্টি হয় রাজাপুরের আরেক বাসায় সাপের বাসা নিয়ে।
এই নিয়ে খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভোলাবাসী