নিউজ ডেস্কঃ
ভোলা নিউজ-১৩.১১.১৮
১২০ জন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ভোলা জেলা কারাগারে বন্ধী সংখ্যা ৮ শতাধিক। কারা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আজ ভোলা কারাগার নিয়ে লিখেছেন ভোলার সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ শাহিন ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তার ফেইসবুক স্টাটাসটি তুলে ধরলাম!……..
কৃতজ্ঞতা অার কৈশোর হতে অদ্যাবধি বন্ধুত্ব নামক বিনি সুঁতোর বাঁধনে অাটকে থাকার কারনেই প্রিয় বন্ধু খন্দকার অাল অামিন, মিজানুর রহমান মাসুদকে দেখতে গিয়ে ছিলাম ভোলা কারাগারে। ওদের দেখতে গিয়ে এক সাথে শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ভোলা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর অাব্দুর রব অাঁখন, হুমায়ুন কবির সোপান, স্নেহাস্পদ ছোট ভাই মনির, টিটু সহ কারাবন্ধী অন্যান্য ছোট ভাইদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।
অাপনারা সবাই অবগত অাছেন যে কারাগার, কারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী অার কারাবন্ধীদের সাথে অামার সম্পর্ক অনেক অাপন। কারন অপোজিশন পজিশন সব অামলেই অামাকে একাধিক বার কারাবরন করতে হয়েছে। অামার প্রিয় দল অা’লীগের বর্তমান ক্ষমতার অামলে প্রিয় নেতা তোফায়েল ভাইর সুনজর এর ফলে এ পর্যন্ত তিনবার লাল দালান পরিদর্শনে গিয়েছি। বলেন মাশাঅাল্লাহ। (ছোট বাচ্চারা জোরে একটা তালি হবে) গতবছর এমন দিনে অামি কারান্তরীন। একটানা ৩ মাস ১৬ দিন কারাবন্ধী কালে নিজ দলের কেউ দেখতে না গেলেও অাজকে যেসব বন্ধী বন্ধুদের দেখতে এসছি তারা অনেকে এক থেকে একাধিক বার দেখতে গিয়েছেন অামাকে। সে হিসেবে চক্ষুলজ্জা বলেন অার ঋনশোধ বলেন উভয় কারনেই গিয়েছি ভোলা জেলা কারাগারে।
প্রিয় বন্ধু ও অামার সুখে দুঃখে সর্বক্ষনের ছায়াসঙ্গী মাইনুর রহমান তুহিন মোল্লাকে নিয়ে গেছিলাম। ভোলা জেলা কারাগারের সুদর্শন সুশিক্ষিত চৌকষ জেলার জুয়েল ভাই সব সময়ের মতোই তার অমায়িক অাচরনে মুগ্ধ করলেন। অামাকে দেখে ই জুয়েল ভাই বললেন অামি গতকাল অালামিনকে কারাভ্যন্তরে পেয়েই বলেছিলাম শাহিন ভাই তো অাসবেন। এমন কথায় অামিও হেসে ফেললাম।