বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দক্ষিন পশ্চিম মধ্যো বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালি হয়ে ক্যাটাগরি ৩ সমৃদ্ধ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়ে ভোলার দিকে ধেয়ে আসছে। হয়ে যেতে পারে ভয়ংকর প্রলয়ংকারী তান্ডব।
এবং এটি এখন উত্তর পুর্ব দিকে অগ্রসর হতেপারে। সে ক্ষেত্রে এভাবে যতি এগুতে থাকে সেক্ষেত্রে বরগুনা পটুয়াখালি ও ভোলা হতে পারে মৃত্যুপুরি। ডুবে বঙ্গপ সাগরের সাথে একাকারহয়ে যেতে পুরো উপকুলীয় জেলাগুলো।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাগর ঐস্থানে ভয়াবহ উত্তাল আছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ ১লা মে সকাল ১০:০০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর হতে ৯৯৮ কিলোমিটার দক্ষিন দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এবং এটি ক্রমস উত্তর পুর্ব দিকে বাক নিতে শুরু করেছে
এটি আরোও জোরদার হয়ে সুপার ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতেপারে।
পুর্বাভাস : এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে, এটি আগামি ৪ ই মে ভোরের দিকে ভয়াবহ শক্তি নিয়ে west bengal এর পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়তেপারে।
এর প্রভাবে বাংলাদেশ দক্ষিন পশ্চিম উপকূলে ঘন্টায় ১৭০ থেকে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভয়াবহ ঝড়ের সম্মুখীন হতেপারে।
ল্যান্ডফল : উত্তর উড়িস্যা তৎসংলগ্ন পশ্চিম বাংলার পশ্চিম উপকূল।
জলচ্ছাস : এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে যথাক্রমে ৪০ফুট ৩০ ফুট ও ১৫ ফুট উচু জলচ্ছাস দ্বারা আক্রান্ত হতেপারে।
বৃষ্টি পাত : আগামিকাল থেকে আগামি সোমবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল,ভোলা,পটুয়াখালি, ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিং বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে মহা ভারিবর্ষণ হতেপারে একটানা ও থেমে থেমে স্থান বিশেষ।
ও দেশের অন্যত্র ভারিবর্ষণ হতেপারে।
বেশি বৃষ্টি হতেপারে শনিবার ও রবিবার।
যদি ভোলায় আঘাত না হানে সেক্ষেত্রে পশ্চিম বাংলা (ভারত) উপকূল একপ্রকার লন্ডভন্ড হতেপারে।