ভোলায় ৬০% মহিলা নিয়োগ কেন নয়, ২৯ পদ সংরক্ষণ: হাইকোর্ট

মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ৬০% মহিলা কোটায় রীট কারীদের নিয়োগ কেন নয় এবং ২৯ টি সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর ২৪ শে ডিসেম্বর প্রকাশিত চুড়ান্ত ফলাফলে ৬০% মহিলা কোটায় পূরন করে রীটকারী মহিলা প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবেনা ও ৬০% মহিলা কোটায় পূরন করে রীটকারী মহিলা প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবেনা তা জানতে ৪ সাপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট একই সাথে রীটকারীদের জন্য ২৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী, ২০২০) ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মাননীয় বিচারপতি এ.এফ.এম নাজমুল হাসান ও মাননীয় বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রীটে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ ০৪ জন কে বিবাদী করা হয়েছে।
রীটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম রাহুল ও এডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রীটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন সরকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ গুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা পুরন করতে হবে কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮,১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় উক্ত ফলাফলে মহিলা প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয় যাহা উক্ত বিধি লঙ্গন করে পূর্নাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। একই ভাবে ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন মহিলা ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ৬০% মহিলা প্রার্থী হিসাবে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীন ২০৬ জন মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার হকদার। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থী ৬০% মহিলা কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে উক্ত রীট পিটিশন দায়ের করেন।
রীট কারীগন হলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আকলিমা বেগম, মারজানা ইয়াসমিন, সুমনা দেব নাথ পূজা, নাসরিন আক্তার, রোকেয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, আকলিমা বেগম, খাদিজা বেগম লিমা, আছিয়া আক্তার লিজা সহ সর্ব মোট ২৯ জন

SHARE