ষ্টাফ রিপোর্টার॥ ভোলা শহরে ৫০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে মো: সেলিম মিয়া নামক এক বাড়ীর মালিকের উপর হামলার ঘটনায় ঘটেছে। টাকা না দেয়ায় একশতাংশ জমি দেয়ার দাবী জানিয়ে তা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গত ৯ অক্টোবর এ ঘটনার পর হামলার শিকার সেলিম মিয়া বিগত ১০ অক্টোবর ভোলা সদর মডেল থানায় হামলাকারী কবির ও তার স্ত্রী চিল্পী’র বিরুদ্ধে ভোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নম্বর-৫৬১/২৪। লিখিত ওই অভিযোগে তিনি জানান,ভোলা পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের দরগাহ রোড নামক এলাকায় তিনি বসবাস করেন। তিনি তার বসত বাড়ির ভোগদখলীয় জমি বিক্রি করতে ক্রেতা আনলেই প্রতিপক্ষ কবির ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বদনাম ও কুৎসা রটিয়ে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেন। এ ব্যারে ভিক্টিম সেলিম মিয়া কবির গংদের বাধা দিলে দুর্বৃত্ত কবির তার উপর ঝাপিয়ে পরে তাকে মারধর করে। গত ৯ অক্টোবর দুপুর ২ টার সময় এঘটা ঘটে। সেলিম মিয়া মিয়া জানান,উক্ত কবির একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী টাইপের ব্যাক্তি। তিনি বলেন,ভোগ দখলীয় জমি বিক্রি করতে হলে কবিরকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে অথবা এক শতাংশ জমি দিয়ে দিতে হবে। হামলার ঘটনার পর চাঁদা কিম্বা জমি না দেয়া হলে বাড়ীর মালিক সেলিম মিয়াকে হত্যার পর লাশ গুম করা হবে এমন হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও ওই জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে এলাকার বাসিন্দারা জানান,উক্ত সেলিম মিয়া কয়েকবছর পূর্বে তার ভাই’র কাছ হতে বেশ কিছু জমি ক্রয় করেছিলেন। ভাই’র মৃত্যুর পর ওই জমি নিজেদের দাবী করে ভাতিজি শিল্পি ও তার স্বামী কবিরসহ একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী ভোগদখলীয় বাড়ি ও জমি থেকে সেলিম মিয়াকে উৎখাতের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ইরফানুর রহমান মিথুন মোল্লা শালিশী করে রোয়েদাদের মাধ্যমে মিমাংসা করে দিলেও কবির গংরা তাতে কোনোপ্রকার পাত্তা না দিয়ে নিজেদের সন্ত্রাসকর্ম অব্যহত রাখেন। বিষয়টি নিয়ে ভোলা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি-আলহাজ্ব গেলাম নবী আলমগীরও একটি আপোষবন্টননামা রোয়েদাদ করে দিয়েছিলেন। সেটিকেও গুরুত্ব দেয়নি কবির ও তার লোকেরা। ওদিক ভোগদখলীয় জমি নিয়ে বিরোধ করায় বাড়ীর মালিক সেলিম মিয়া ভোলার সহকারী জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিবাদী কবির গংদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেলিম মিয়া বলেন,এসব সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের পেশীশক্তির দাপটে সন্ত্রাসীকর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এসকল ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে অসহায় সেলিম মিয়া জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কবির মিয়ার সাথে তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান