আল-আমিন এম তাওহীদঃভোলা নিউজ
দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্যবাহী ইলিশা ও রাজাপুর দুটি ইউনিয়নের প্রায় মানুষ ভয়াল মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে তাদের শেষ উপায় প্রধানমন্ত্রী এবং ভোলা-১ আসনের এমপি সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় নদীভাঙ্গন এলাকাটি সিসি ব্লকের মাধ্যমে রোধ করা হয়। এই দুটি ইউনিয়নে এখন প্রায় ৫হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। তাদের একমাত্র আয়ের উৎসব নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করা। কিন্তু পুর্বে ইলিশা ফেরিঘাটের পাশে ছোট একটি খাল ছিল, নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করে তাদের জাল নৌকা ও ট্রলার ওই খালে নোঙ্গর করতেন। নদীভাঙ্গন রক্ষায় সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাধঁ নির্মিত হলে ওই খালটিও সিসিব্লকের অর্ন্তভুক্ত হওয়াতে জেলেদের নৌকা ও ট্রলার সিসি ব্লকের উপরে কিংবা পাশে নোঙ্গর করতে হয়। এতে দেখা যায় নৌকা- ট্রলারগুলো দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে। সোমবার (১এপিল) দুপুরে দিকে ওই দুটি ইউনিয়নের কয়েক’শ জেলেরা সিসিব্লকের উপর দাড়িয়ে নৌকা ও ট্রলার রাখার খাল খননের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং প্রশাসনের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ জোর দাবি জানান জেলে পরিবার। ভুক্তভুগী জেলেরা বলেন, ভোলার গণ মানুষের নেতা এবং যার সু-নজরে ইলিশা-রাজাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ মেঘনার কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছে তিনিই তোফায়েল আহমেদ এমপি। যার ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারবো না। তার কাছে আমাদের আরেকটি দাবি রয়েছে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশনের কালুপুর ও রাজাপুর এর সিমানাবর্তী কালুপুর মৌজায় আনুমানিক ৩০০ মিটার খাল খনন করে আমাদের অসহায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলারগুলো যেন নোঙ্গর করতে পারি তার সু-ব্যবস্থা তিনি করবেন। এর আগে ফেরিঘাটের পাশে একটি খাল ছিল ওই খালে সকল জেলেরা নৌকা ও ট্রলার নোঙ্গও করতেন, কিন্তু সেই খালটিও সিসি ব্লকে দিয়ে বাঁধ দেয়াতে নৌকা-ট্রলার রাখার কোন জায়গা নেই। সিসি ব্লকের ওপর এবং পাশে নোঙ্গর করলে নৌকা ট্রলার ভেঙ্গে যায়। গতকাল রবিবার রাতে ঝড়ের কবলে পরে জেলেদের অনেক নৌক- ট্রলার ভেঙ্গে যায় এবং প্রবল বাতাসের কবলে ছুটে গিয়ে নদীতে ডুবে গেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামাল কোম্পানী, তাহের ভুলাই, রহিজল মিয়া, আলম মিঝি, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মিলন মালতিয়া, ঈমন মাঝি, রহিম মাঝি, গাজী বেপারী, কালাম বেপারী, ইউসুফ মাঝি, মহসিন মাঝি, মাইনউদ্দিন মীর, নিরব মাঝি, জশিম বেপারী, দুলাল পাটোয়ারীসহ স্থানীয় কয়েক’শ জেলেরা। এ বিষয়ে ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া জানান, আসলেই একটি খাল খনন করা জরুরী তা না হলে জেলেদের নৌকা- ট্রলার রাখার কষ্টকর হয়ে যায় এবং যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ঝড় তুফান আসলে। ভোলা জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি তাদের নৌকা ও ট্রলার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে।