কামরুজ্জামান শাহীন॥
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ মুসুল্লি সংঘর্ষের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার(২৪অক্টোবর) ভোলার বোরহানউদ্দিনে উলামায়ে কেরাম ও স্থানীয় জনতার সাথে কথা বলেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারত করেন।
ঢাকা মহানগর হেফাজত আমীর আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার ভোরে প্রতিনিধি দলটি ভোলায় পৌঁছেন।
তারা প্রথমে গত রবিবার ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে তাওহিদী জনতার প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষনে হতাহতের ঘটনাস্থল বোরহানউদ্দিন মার্কাজ মসজিদ ও সংলগ্ন মাদরাসাতুত্তাকওয়া পরিদর্শন করেন। সেখানে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মিজানুর রহমান, মার্কাজ মসজিদের খতীব মাওলানা জালাল উদ্দিন, আলি নগর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা তৈয়বুর রহমান, চরশুভি মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, রতনপুর মাদ্রাসার মুতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান সহ প্রায় অর্ধশতাধিক উলামায়ে কেরাম ও স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে ঘটনার বিসতারিত বিষয়ে অবগত হন।
এরপর প্রতিনিধি দলটি বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় নিহত হাফেজ আবু রায়হান, শাহীন হোসাইন, হাফেজ মাহাফুজ পাটোয়ারী ও মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। জিয়ারত শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে শান্তনা দেন এবং তাদের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন হেফাজত ইসলামের ঢাকা মহানগর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা ফায়সাল আহমদ, মাওলানা রাকীবুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ফিরে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা যায়।