টিপু সুলতান:
হাজারো মানুষের চোখের পানিতে সাংবাদিক এইচ এম নাহিদ এর পিতাকে চিরবিদায় জানানো হয়েছে। জুমার নামাজের পরে বিভিন্ন মসজজিদ থেকে দলবেদে মুসল্লিরা আসতে থাকে ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসা মাঠে। দুপুর ২.১৫ মিনিটে জানাজা নামাজ শুরু করেন ইমাম সাহেব। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করে সাহেব আলী পন্ডিতকে।
এর আগে ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবদুল গনি কুট্টি এর বড়ভাই এবং দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এইচ, এম নাহিদ এর বাবা ছাহেব আলি পণ্ডিত গতকাল রাত ৮.১৫ মিনিটে হৃদযন্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে ভোলা ১ আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ এর পক্ষ থেকে শোক জানান জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। এক শোক বার্তায় মইনুল হোসেন বিপ্লব জানান, আল্লাহ যেনো মরহুমকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন এবং মরহুমের পরিবারের সকলে যেনো ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
এদিকে “ভোলা নিউজ’কে এক শোক বার্তায় বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দলিভ রহমান পার্থ বলেন, চরোয়াবাদ এলাকার মানুষ তাকে খুব ভালো মানুষ হিসেবে চিনতো ও জানতো। মহান আল্লাহ যেন এ মানুষটিকে জান্নাতুুল ফেরদাউস নসিফ করেন। পরিবারের সকলকে শোক সহিবার ধৈর্য দান করেন।
সাংবাদিক এইচ, এম নাহিদ এর বাবা ছাহেব আলি পণ্ডিত এর মৃত্যুতে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগির ও বিএনপি নেতা আসিফ আলতাফ ও গভীর শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক নাহিদের বাবা মৃত্যুতে। ভোলা জেলা জমিয়ত নেতা অধ্যাপক মোবাশ্বেরুল হক নাঈম ও শোক সমবেদনা জানিয়েছেন।
মৃত্যু সংবাদ শুনে সাংবাদিক নাহিদের চরনোয়াবাদের বাসায় রাতেই ছুটেযান সাংবাদিক নেতা হামিদুর রহমান হাসিবের নেতৃত্বে ভোলার সাংবাদিকরা। যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম কায়েদও খবর পেয়ে রাতেই ছুটে যান।
এই সমাজ সেবকের মৃত্যুতে ভোলা নিউজ পরিবারও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।