টিপু সুলতান।। ভোলার রাজাপুরের আলোচিত গণধর্ষণ মামলার আসামি ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত আরমান হোসেন। ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশে সদর সার্কেল ফরহাদ হোসেন ও ওসি এনায়েত হোসেনের ক্লান্তিহীন এ সফল অভিযানে আটক হয় গনধর্ষনের মূলহোতা আমজাদ।
২০জুন সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকায় ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেনের নেতৃত্বে ভোলার গণধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ আমজাদ হোসেন আরিয়ান (২৫) কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানায় যে, গত ১মে ২০২২ ভিকটিম তার হবু স্বামী (বর্তমানে বিবাহিত) মোঃ সজিব হোসেন কে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ি ভোলা সদর মডেল থানাধীন রাজাপুর ইউনিয়ন এর শ্যামপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক ১১.৩০ টার সময় রাজাপুর ইউনিয়ন এর চর মনসার রাস্তায় আসামি মোঃ আমজাদ হোসেন আরিয়ান (২৫) এবং তার সহযোগী পলাতক আসামি মোঃ পান্নু ও মোঃ ফোরকান সহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা তাদের অটোরিক্সাটির গতিরোধ করে।পরিবহন চালককে মারধর করে ভিকটিম ও সাক্ষী সজিবকে পার্শ্ববর্তী একটি বসত ঘরে নিয়ে আটক করে। ভিকটিম বেগমকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।পরে ভিকটিম ও সাক্ষী সজিবকে জোরপূর্বক কিছু স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারণ করে এবং তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ নিয়ে যায় ওই আসামীরা। ভিকটিম অসুস্থ হয়ে গেলে আসামীরা রাত আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকার সময় তাদের ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভোলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম বিষয়টি অবগত হলে ভোলা সদর মডেল থানাকে দ্রুত সময়ে আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার দিন সংঘটিত অপরাধের বিস্তারিত তথ্যসহ অন্যান্যদের বিষয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করে। তার দেওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে জড়িত অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ভিকটিম বাদি হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩)এর ৯(৩)ধারার ৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোডে মামলা দ্বায়ের করেন মামলা নাম্বার-১৫/২২
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার (ওসি)তদন্ত মোঃ আরমান হোসেন জানান, ভোলার রাজাপুর এটি একটি আলোচিত গণধর্ষণ মামলা,আমরা চেষ্টা করে আমজাদ কে গ্রেফতার করতে পেরেছি,বাকীদের আটক করতে অভিযান চলমান আছে।