এম শরীফ আহমেদঃ
ভোলা নিউজ-
এই সমাজে শত শত জনগোষ্টি বসবাস করে। সবাই সবার মত করে স্বাবলম্বী। কারো কারো স্বপ্ন আবার আকাশ ছোয়া।কিন্তু সামাজিকতার দৃষ্টি থেকে যাদের পাওয়া একেবারেই কম বা নেই বললেই চলে তারা হলো ভাসমান পল্লীর মানুষ।
এক কথায় যারা পরিচিত যাযাবর নামে। ঠিক এমনি কিছু যাযাবর চোঁখে পড়ে ভোলার দক্ষিনে ঘুইংঘারহাট বাজারের কাছে। এদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এদের জীবনের কষ্টের কথা গুলো। গত তিন বছর ধরেই তারা কোনো সরকারি সহযোগীতা পায়নি। এখানে ছোট একটি মাঠের মধ্যে ৮টি পরিবার রয়েছে। ৮টি পরিবারে সদস্য আছে ৩৮জন।
ভাসমান বলেই তারা সমাজের আর অন্য জনের মত সম্মান পায় না। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস মহিলারা।বাসায় বাসায় গিয়ে সাপ খেলা ও শিঙ্গা দিয়ে যা আয় করে তা দিয়ে চলে তাদের সংসার।এ ছাড়া তাদের সমাজে পুরুষ রা মহিলাদের উপর নির্ভর হওয়ায় আরো বেশি চাপে থাকতে হয় মহিলাদেরকে। সুখে স্বপ্ন সবাই দেখলেও যাযাবর হয়ে তাদের স্বপ্ন দেখতে মানা এমন কথাও বলেন যাযাবর দের একজন রহিমা বানু।
পরিবারের এক গৃহকর্তী বলেন,অন্য সবার মত তাদের ও ইচ্ছে হয় তাদের সন্তান দের কে পড়াশুনা করাতে।কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আর বিভিন্ন কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না।আর এই তিন বছরে কোন সরকারি সাহায্যও পাই নি।
এক পর্যায়ে তাদের জন্ম স্থানের কথা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের জন্মস্থান ঢাকার বিক্রমপুর।নিরাপদে আশ্রয় স্থান হিসেবে স্থলকে আমরা বেঁচে নিয়েছি।কারন পানিতে আছে সাপের ভয় বিষাক্ত কিছু আক্রমনের ভয়।এতো কষ্টের পরেও থাকার জায়গা পেয়ে খুশি এরা।এদের চাওয়া এখন একটাই; সরকার যেনো এদের পাশে এসে দাড়ায়।