ভোলায় স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

 

 

মনজু ইসলাম / টিপু সুলতান

 

ভোলার দৌলতখান উপজেলার আলোচিত মা মেয়ে হত্যা মামলার আসামি মো: বেল্লাল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দশবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ১২টায় ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এ.বি.এম.মাহমুদুল হক এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ২নং ওয়ার্ডের বেল্লাল হোসেন পাটোয়ারীর ২০১৭ সালে স্ত্রী শাহানাজ ও কন্যা সন্তান মোহনা ১(বছর) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের কথা শিকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামী বেল্লাল। ১৬৪ ধারায় বিল্লাল আরো বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত্রে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করার জন্য জোর করি। স্ত্রী রাজি না হওয়ায় আমি তাকে ধারালো চাকু দিয়ে হত্যা করার পরে কম্বল গায়ে লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেই। এতে মা মেয়ে দুজনই নিহত হয়। আসামী বেল্লাহ হোসেন দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় ডড়াইভারী চাকুরী করতেন।মাঝেমধ্যে সে গ্রামের বাড়িতে আসতো। তার প্রথম সন্তান মেহেদী (৭) বছর এবং কন্যা সন্তান মোহনা( ১)বছর।বেল্লাল ঢাকায় চাকুরী করার সুবাদে ঢাকায় একটি মেয়েকে বিয়ে করে।পরে তাকে আবার তালাকও দিয়েছে। এদিকে বেল্লাল ঢাকায় থাকার সুবাদে পুনরায় ওই মেয়ের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়া স্ত্রী কাছে ধরা পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি সৃষ্টি হয় স্ত্রী শাহানাজের সাথে। একপর্যায়ে আসামি বেল্লাল হোসেন স্ত্রী কে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং ভিটামিন জাতীয় ঔষধ এর মধ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন এখানে ব্যর্থ হয় বেল্লাল। এই যাত্রায় স্ত্রী প্রাণে বাঁচলো পরবর্তীতে সেটা আর হলো না। সহবাসের পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী শাহনাজকে হত্যা করে বেল্লাল। এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শাহানাজকে কম্বল পেচিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আসামি বেল্লাল হোসেন একাই চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে তদন্ত রিপোর্টেও উল্লেখ করেন পুলিশ ।

SHARE