ভোলা নিউজ ডেস্ক।। ভোলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স’মিলের সাথে বেঁধে ব্যাবসায়ীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে সোমবার (১৩ জুন) রাঁত সারে ৭ টার সময়। ঘটনার ১ ঘন্টা পর অভিযুক্ত সন্ত্রাসী ইউছুপ গংরা বিশ্বরোড হাওলাদার বাজার ঔষধের ফার্মেসীতে ঘটনার স্বাক্ষীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে আহত করে এবং তার বসত বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভোলা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় নুরনবী (৩২) মোসলেউদ্দিন (৩৮) এবং বিবাদী ইউসুফ মিয়া (২৮), নাছির বাঘা (৩৭) যৌথভাবে ব্যবসা করতেন। কিছুদিন পর ব্যবসায়ে বনী-বনা না হওয়াতে নুরনবী ও মোসলেউদ্দিন ইউসুফ ও নাছির বাঘার থেকে আলাদা হয়ে ব্যবসা করেন। এই সুত্রপাত থেকে ইউসুফ ও নাছির বাঘা বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে নুরনবী, মোসলেউদ্দিনকে হয়রানি করে আসছে। ঘটনার দিন ইউসুফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার মোবাইল ফোনে নুরনবীকে তার স’মিলে ডেকে খুঁটির সাথে বেঁধে ইউসুফ, নাছির বাঘা, জহিররুল ইসলাম (২৪), ইয়ামিন (২০), সিয়াম (১৮) নির্মমভাবে নির্যাতন করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে মোসলেউদ্দিন গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার ১ ঘন্টা পর অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা বিশ্বরোড হাওলাদার বাজার মো. বাহার বাঘার ঔষধের ফার্মেসীতে মোসলেউদ্দিন পেয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলেন, এখানে তুই থাকতে পারবিনা, তোর বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেব। এই ঘটনায় ভোলা সদর থানায় নুরনবীর স্ত্রী বাদী হয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেন।আহত মোসলেউদ্দিন বলেন, নুরনবীকে বাঁচানোর অপরাধে সন্ত্রাসী ইউসুফ গংরা আমার উপর হামলা করে আমাকে এলাকা ছাড়া ও ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তা হিনতায় ভূগতেছি।অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় মামলার তদন্তপ্রাপ্ত প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. শাহানুর এর সাথে। তিনি বলেন ঘটনার তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেব।ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ম. এনায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে পুলিশ।