টিপু সুলতান
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের যুবকদের উদ্দ্যোগে গড়ে উঠেছে বাপ্তা সমাজ সেবা সংগঠন।
সংগঠনের শুরু থেকে একঝাঁক তরুন যুবকরা ঔই ইইউনিয়নে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
বর্তমানে করোনাভাইরাস যার রুপান্তরিত নাম কোভিড (১৯) এ ভাইরাসের মরণ থাবার ভয়ে চরম বিপাকে বাপ্তা ইউনিয়নে কর্মহীন ঘরবন্দী খেটে খাওয়া নিত্য আয়ের মানুষগুলো। এদের জমানো যে পুঁজি ছিল তাও এখন শেষ। এসব লোকজন না পারছে ঘর থেকে বের হয়ে কর্মে ফিরতে, না পারছে অন্যদের মতো ত্রাণের জন্য এদিক ওদিক ছুটতে। তাও আবার ত্রানের চাউলের উপর চলছে প্রতিযোগিতা কে কত চুরি করে বড় বড় চাউলের খনি তৈরী করতে পারে, আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে কাটছে এদের দিন। ঘরবন্দি পরিস্থিতি যত দীর্ঘ হচ্ছে এদের অবস্থা ততোই খারাপ হচ্ছে। ঠিক তখনই হতদরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যে ভিও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছন বাপ্তা সমাজ সেব সংগঠন । এসব নিত্য আয়ের মানুষগুলোকে নিয়ে কেউ ভাবছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা খোজ খবর নিচ্ছেনা হতদরিদ্র ও মধ্যে ভিও পরিবারগুলোর। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনসমাগম এড়াতে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারী ছুটি চলছে।
করোনা বিস্তার রোধে প্রায় ১১৬ দিন ঘরে থাকার কারণে ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও মধ্যে ভিও শ্রেণী পেশার মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
করোনা মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারী যে খাদ্য সহায়তা কর্মসুচী তা এখন অনেকটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। শনিবার বিকালে কথা হয় বাপ্তার ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও মধ্যে ভিও মানুষদের সাথে , বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালান তিনারা । কাজ না থাকায় আয়-রোজগার সব বন্ধ। হাতে যা ছিল তা শেষ, ঘরে খাবার নাই এখন কিভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে খু্বই দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন তারা। সরকার থেকে বিভিন্ন যায়গায় অনেক খাদ্যসামগ্রী বিতারণ করা হলেও আমরা অনেকে পাইনি এ কথা বলে মনের অজান্তেই চোখের জল টলটল করতেছিল। সরকার আমাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত ইনকাম না থাকলে আমরা খামু কি। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে চিন্তিত বলে জানান তারা।