ভোলায় সদর গার্লস স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে দিনভর গনধর্ষন

মাসুদ রানাঃ
ভোলয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে রাতভর গনধর্ষন করেছে মাদকসেবী গোলাম আরিফ, গাজিপুর রোডের তরিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী, সোহানসহ আরো ৫ থেকে ৬ নরপশু। ধর্ষিত স্কুল ছাত্রী হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। তিন দিনেও কথা বলতে পারছেনা ওই স্কুল ছাত্রী।

ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়ে স্কুলে যাবার পথে তাকে উঠিয়ে নিয়ে আরিফের বাসায় আটকিয়ে রেখে তার বন্ধুরা মিলে দিনভর ধর্ষন করে। খবর পেয়ে আমরা সেখান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ ঘটনায় রবিবারই ভোলা সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ধর্ষিতার বাবা। যার ভোলা থানা মামলা নং ৮১/১৯।
মামলায় গোলাম আরিফ, মেহেদী ও সোহানের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। তবে ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনো আরিফসহ কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।

হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স জানান, রোগীকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তাও মাত্রাতিরিক্ত ভাবেই খাওয়ানো হয়েছে। তাই এখনো সে ভালো করে কথা বলতে পারছে না।
স্থানীয়রা জানান, আরিফ এমন কাজ এর আগেও করেছে। বিবাহিত হওয়ার পরও তার চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। একেক সময় একেক বাসা ভাড়া নিয়ে মাদকের আড্ডাসহ নারী ঘটিত অপকর্ম করে থাকে।
ভোলা সদর থানার ওসি মোঃ ছগির মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমরা মামলা নিয়েছি ভিকটিমের মেডিক্যাল পরিক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

SHARE