আল-আমিন এম তাওহীদ,ভোলানিউজ.কম,
ভোলায় বিল্লাল ( ২২) নামের এক শিবিরকর্মীর ছুড়িরাঘাতে বেসরকারী এনজিও হীড বাংলাদেশ এর ভোলা সদর উপজেলার ক্রেডিট অফিসার বিল্লাল (২৬) খুন।
আজ (১০মে) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলা আলিনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৌটুপী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, আলিনগর মৌটুপী এলাকায় বেসরকারি এনজিও হীড বাংলাদেশ এর বলাকা মহিলা দলের সমিতি রয়েছে। দুপুরের দিকে এনজিওর মাঠকর্মী মোঃ বিল্লাল সমিতির টাকা উত্তোলন শেষে যাওয়ার পথে শিবিরের কর্মী মোঃ বিল্লাল তার বাসায় ডেকে নিয়ে নেয়। পরে জানতে পারি তাকে কুপিয়ে ও ছুড়িরাঘাত করে খুন করেছে এবং টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। শিবিরকর্মী ও ঘাতক বিল্লাল ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত অজিউল্লাহ মুন্সীর ছেলে।
নিহত এনজিও কর্মী বিল্লাল সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি ৭বছর যাবত হীড বাংলাদেশের বলাকা মহিলা দলের ক্রেডিট অফিসার অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থানা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক বিল্লালের মা আসফারা বেগম দুলুকে আটক করেছে।
এবিষয়ে আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বশির আহমেদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ নিহত এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় বিল্লালের বাড়ি তল্লাসী চালিয়ে একাধিক জিহাদী বই, শিবিরের কাগজপত্র, পুরান মোবাইল,সিমকার্ড পাওয়া যায়। এনজিও কর্মীকে খুন করে ব্যাগে নিয়ে পালিয়ে গেছে শিবিরকর্মী বিল্লাল।
এবিষয়ে হীড বাংলাদেশ ভোলা সদর অফিসার যুঘেষ মন্ডল বলেন, ক্রেডিট অফিসার বিল্লাল হোসেন আলিনগর মৌটুপী এলাকায় বলাকার একিট কেন্দ্র রয়েছে সেখানে টাকা কালেকশন করতে যায়। আসফারা বেগম নামের এক সদস্যর ২০হাজার টাকা ঋণ ছিল। সে কেন্দ্রে টাকা দিতে আসেনি, পরে ক্রেডিট অফিসার বিল্লাল কিস্তি আনতে তার বাড়িতে যায়। সদস্য আসফারার ছেলে বিল্লাল টাকা ছিনতাইয়ের জন্য খুন করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা খুনির বিচার চাই।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির আহমেদ জানান, পুলিশের ধারনা দুপুরের দিকে ওই এনজিওকর্মী দুলু বেগমের বাড়িতে কিস্তির টাকা তুলতে যায়। এ সময় কিস্তির টাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুলু বেগম ও তার ছেলে বিল্লালের সাথে এনজিওকর্মী বিল্লালের কথা কাটাকাটি হয়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। বিল্লালের বাসায় তল্লাসী চালিয়ে অনেক জিহাদী বই পাওয়া গেছে শিবিরের সাথে জড়িত রয়েছে। এঘটনায় দুলু বেগমকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, ঘাতক বিল্লালের বড় ভাই আল-আমিন হাফিজি মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ মামলায় জেলহাজতে রয়েছে। তার মেঝো ভাই মাহমুদুল জাফর কুমিল্লা জেলার একটি কওমী মাদ্রাসায় চাকরী করে।
(আল-আমিন এম তাওহীদ. ১০মে-২০১৮ইং)