আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলানিউজ.কম
ভোলায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গা পূজার শুভ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক ও জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন।
সোমবার (১৫অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ণপাড়ায় অবস্থিত সার্বজনীন পুজা কমিটি মিহির লাল সাহা পূজা মন্ডপ ও শতদল বিকাশ ক্লাব দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও আলোচনা শেষে ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হয়।
জেলার এ দুটি পূজা মন্ডপের শ্রী সমর কর্মকার ও বাসু সুমন বনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক, গেস্ট অব অনার হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুখ, সদর উপজেলা পুজা কমিটির সভাপতি শান্ত ঘোষ ও সম্পাদক জয়দেব প্রমূখ।
পূজারি ও ভক্তরা উদ্বেলিত হবেন দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠানে। সবাই শামিল হবেন পৃথিবীর সব আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় ও মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার প্রার্থনায়। মহাসপ্তমী, মহাষ্ঠমী ও কুমারী পূজা, মহানবমী শেষে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।
দুর্গা শব্দের অর্থ হলো আবদ্ধ স্থান। যা কিছু দুঃখ-কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে, যেমন বাধাবিঘ, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামে অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাঁকে ডাকলেই তিনি তাঁর কষ্ট দূর করেন।
উমা থেকে পার্বতি। তারপর পার্বতি থেকে দুর্গা। এই নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে আছে, তিনি গিরিরাজ হিমালয়ের কণ্যা ও পর্বতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই তিনি পার্বতি। পরের অধ্যায়ে তিনি হয়ে উঠেন দানবদলনী দশভূজা। আর তখনিই তাঁর নাম হয় দুর্গা।
এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুখ, সদর উপজেলা পুজা কমিটির সভাপতি শান্ত ঘোষ ও সম্পাদক জয়দেব প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুর্গাপূজা। এ উৎসব উপলক্ষে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টিতে সকল ধরনের সহযোগিতা করা। ধর্মীয় উৎসবের জন্য জেলা প্রশাসন সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিবে।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার বলেন, শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সকল আইন-শৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি দূর্গা পূজা শান্তিশৃংখলা ও উৎসবমুখোর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ধর্মীয় উৎসবে কেউ ষড়যন্ত্র কিংবা ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তা যদি জেলা পুলিশ জানতে পারে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ধর্মীয় উৎসবসহ মানুষের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ মাঠে রয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা,বিশেষ শাখা, সাদা পোষাকধারী তাদের কড়া নজর রয়েছে। শান্তিপূর্ণ শহর শান্তিপূর্ণ উৎসবে কেউ বিশৃংঙ্খলার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করবে জেলা পুলিশ। বর্তমান সরকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্চে। এদেশের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে এটাই সব সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যা্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেন।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৫অক্টোবর-২০১৮ইং)