ভোলায় লাশের প্যাকেট নিয়ে জজের বিচার দাবী অসহায় বাবাব

মিলি শিকদারঃ
ছবির মানুষটির হাতে এটা কোন মিষ্টি কিম্বা কাপুরের প্যাকেট নয়। এটি তার সদ্য জন্ম নেয়া দুই সন্তানের লাশের প্যাকেট। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ কত ভারি তার পরেও ২টি সন্তানের লাশ নিয়ে স্বেচ্ছাচারী এক জজের বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভোলা জাজ কোর্টের অসহায় কর্মচারী বাবা।
ভোলর চরফ্যশনের অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ নুরুল ইসলামের আদালতের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর সোহেল ফরাজি। তার স্ত্রীর অসুস্থতাজনিত কারনে বারবার ছুটি চেয়ে ছুটি না পাওয়ার কারণে যথাসময়ে চিকিৎসা না করাতে পারায় দুটি সন্তানই মারা গেছেন। গতকাল ৮মে রাতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা না করতে পারায় দুটি সন্তানই মারা যান বলে অভিযোগ করেছেন বাবা সোহেল ফরাজী। সোহেল ফরাজী অভিযোগ করে বলেন,আট বছর পর আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা হয়েছে, জমজ বাচ্চা পেটে ছিল বলে ওকে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হতো, আমি যতবার ছুটির জন্য দরখাস্ত দিয়েছি জাজ স্যার ততবার তা না মন্জুর করেছেন। আমি আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করানোর জন্য সাপ্তাহিক ছুটিতে বরিশাল যাওয়ার অপরাধে স্যার আমাকে দুই দু’বার শোকোজ করেছে।গত ৬ মে স্যার আমাকে তার খাশ কামড়ায় জুতা দিয়ে মারতে এসেছে। তার এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা ও নিষ্ঠুরতার বলী আমার দুই সন্তান। আমি এই সেচ্ছাচারী জজের বিচার চাই। এদিকে আতিরিক্ত জেলাজজ এর সকল অপকর্মের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগিয় কর্মচারির এসোসিয়েশন ভোলা জেলা শাখা। তারা সোহেল ফরাজির ২ সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে ভোলা জেলা জজ আদলতের সামনে এই মানববন্ধনে দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। চরফ্যশনের অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ভোলা নিউজকে বলেন, সোহেল ফরাজী যতবার ছুটি চেয়েছে আমি মন্জুর করেছি বা না করেছি ততবারই ও বরিশাল গিয়েছে। গতকালও সে ছুটিতে গিয়েছে। এর আগেও না বলে চলেগেছে ৮ দিন পরে আসলেও আমি তা জেলা জজ স্যারকেও জানাইনি।

SHARE