ইকবাল হোসেন রাজু।। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ২নং ওয়ার্ডে জেলে এবং রেশন কার্ডের প্রলোভনে এক গৃহবধূ কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার লক্ষ্মণ মালের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত লক্ষ্মণ ওই এলাকার অনিল মালের ছেলে বলে জানা গেছে।ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার সকালে তার মেয়ের জন্ম সনদ করার জন্য একই এলাকার লক্ষ্মণ মাল কে ডেকে বাড়ীতে নেন। জন্ম সনদের যাবতীয় কাগজপত্র লক্ষ্মণের হাতে দিলে লক্ষ্মণ ওই গৃহবধূ কে জিজ্ঞেস করেন তোমার স্বামী কই? স্বামী কাজে গেছে একথা বললে লক্ষ্মণ মাল গৃহবধূর হাতে চাপ দিয়ে বলেন তোমাকে আমার ভালো লাগে, আমি ভিজিএফ ও জেলে কার্ড করে দিবো তোমাকে তখন ওই গৃহবধু তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় জোড়পুর্বক শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলে গৃহবধূ লক্ষনকে গালমন্দ করলে লক্ষ্মণ চলে যায় এবং এই কথা গৃহবধূর স্বামীসহ কেউ যেন না জানে তাই নিষেধ করে যান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে লক্ষ্মণের ভাই ভিটন মাল এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই গৃহবধূ কে চাপ প্রয়োগ করেন বলেও জানান তিনি।
তবে লক্ষ্মণের ভাই ভিটন মাল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ঘটনাটি শুনে ঐ মহিলার নিকট গেলে সে আমার উপর উত্তেজিত হয়েছেন । অভিযুক্ত লক্ষ্মণ মাল বলেন আমি এ বিষয়টি ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি, আপনার কিছু বলার থাকলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জানেন, আমি এ বিষয়ে তার আদেশ ছাড়া কিছু বলতে চাইনা তবে লক্ষ্মণ কি ভাবে ভাতা কার্ড করে দিবেন জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন। পশ্চিম ইলিশা ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল হোসেন বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে লক্ষ্মণের ভাই বললো সে সমাধান করে দিবে কিন্তু পরবর্তীতে কোন সমাধান সে দিতে পারেনি বলে পুলিশ সাংবাদিক এসেছে শুনেছি। ভোলা সদর থানার ওসি তদন্ত আরমান হোসেন বলেন এই ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ এখনো জানাইনি তবে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।