ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের রৈদের হাট এলাকার মাঝি বাড়ির সুলতানের ছেলে জুয়াটি এমরানের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী রিনা বেগম করেন, আহত রিনা বেগম তজুমদ্দিন উপজেলার শেম্পুপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউসুফের মেয়ে। রিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ৫ বছর আগে আমাদের বিবাহ হয়। আমাদের সংসারে ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিবাহের পরে কিছুদিন ভালো থাকলেও বর্তমানে সে জুয়া খেলে প্রতিদিন। আমার দুই বছরের ছেলের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও আংটি চুরি করে বিক্রি করেছে। সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলেছে। বর্তমানে সে আরো ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করাসহ নির্যাতন চালায় আমার স্বামীসহ তার পরিবার। এব্যাপারে অভিযুক্ত এমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। রিনাকে নিয়ে আমি সংসার করব না। ওই মেয়েকে আমি বিবাহ করব। এমরানের মা পারুল বলেন, আমার ছেলেকে অন্য স্থানে আবার নতুন করে বিবাহ করাব।আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যত টাকা লাগে আমরা বুঝব। স্থানীয়রা জানান, এমরানসহ তার পরিবার যৌতুক লোভী। প্রায় ১২ বছর আগে এলাকার নাগরের মেয়ে শারমিনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে এমরান। পরে এমরান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। বর্তমানে যৌতুকের দাবীতে এমরানের স্ত্রীকে নির্যাত চালায় এমরানসহ তার পরিবার। অন্যদিকে রিনাকে নির্যাতনের খবর পেয়ে তারবাবা ইউসুফ আনতে গেলে মেয়ের বাবা ইউসুফকেও মারধর করে। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯ এ কল করেন ইউসুফ। ভোলা ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স রিনাকে উদ্ধার করে। আহত রিনা বেগম তার পিতার এলাকা তজুমদ্দিন হাসপাতাল ভর্তি আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।