মনজু ইসলামঃ
বালিয়া লঞ্চের যাত্রী আজ আমি লঞ্চে উঠলাম, ইফতার করে বাসা থেকে বের হলাম তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠলাম সাত টা র সময় ,অনেক পানি পিপাসা লাগলো কেবিনে পানি দিতে বললাম পানি দিতে ৪৫ মিনিট লাগলো, যাই হোক পানি তো পেলাম, তার পর আর এক বিরম্বনা
ঘুমাতে গিয়ে আরেক বিরম্বনা পিঠে ব্যথা পাচ্ছিলাম
কেন ব্যথা পাচ্ছিলাম তা লক্ষ্য করতে গিয়ে
অনেকটা অবাক হলাম। যে তোষক দেওয়া তা এক ইঞ্চির বেশি হবে না, এবং তোষকের নিচে যে কাঠের বিছানা দেওয়া আছে তা অনেক টা অসমতল ।এবং অনেক ফাঁকা তারচেয়েও বড় কথা এগুলো সম্পূর্ণ নড়বড়ে ।কোন পেরেক ঠোকা নেই ।কেবিন ইনচার্জ কে ডাকলাম ভাই ঘুমাতে পারছিনা অনেক কষ্ট হচ্ছে সাইডে হাত পা রাখতে পারছি না যেখানে ভোলার অন্যান্য লঞ্চে একটা সিঙ্গেল কেবিন দুই জন যাতায়াত করা যায় আপনার এখানে তো আমি একাই ঘুমাতে পারছি না। ভাই পরবর্তী উত্তরে কেবিন ইনচার্জ জেমস তপন জানালেন ভাই কিছু করার নাই কেবিন ভাড়া ১২০০ টাকা দিন ।আর যদি কেবিন বদলান ১৫০০ টাকা লাগবে । আমি বললাম ভাই এসি নাই টিভি নাই এত গরম তার পর আছে রক্তখেকো উরস পোকার কামড়।
ঘুমাইতে গেলে ব্যাথা পাই তারপরও আপনি দাবি করতেছেন ভাই ।আর কোন ব্যবস্থা নাই? ৩০০ টাকা দিলে ব্যাবস্থা হবে এক্সট্রা ।আমার কিছু বলার নাই। প্রতিকার চাইবনা ।কারণ আমি অসহায় যাত্রী কেবিন পাওয়া তো আজকাল ভাগ্যের ব্যাপার ।
Home অপরাধ-ও-দুর্নীতি ভোলায় যাত্রী ভোগান্তির আরেক নাম বালিয়া লঞ্চ বাজে কেবিনে ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া