ভোলায় মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে ধর্মীয় উস্কানির পায়তারা

আল মাহমুদ#
শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ান করাকে কেন্দ্র করে ভোলায় নতুন করে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাটি ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ফরাজি বাড়ির সংলগ্ন মসজিদ কে কেন্দ্র করে ঘটেছে । মসজিদের ইমাম মাওলানা নুর নবী জুমার বয়ানে এলাকায় মাদক, নাড়ী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ও সমাজের সুদ ব্যাবসা নিয়ে বয়ান দেয়ার কারনে স্থানিয় আনসার আলী (৬০) ও তার সহযোগীরা ইমামকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের দিয়ে মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় স্থানিয় মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঐমাদ্রাসার ছাত্ররা আনসার আলীর শাস্তি দাবী করে মিছিল করতে দেখা গেছে।

স্থানিয় মসজিদের মুসল্লি হাসন আলী (প্রাক্তন মেম্বার ৬৫ ), মোঃ জয়নাল আবেদীন হাং(৭০) মোঃ কবির (৪৫) মোঃ কবির (২৫) ও মোঃ রুবেল (২২) বলেন, আনসার আলী ও তার ছেলেরা এলাকায় মাদক ও সুদের ব্যাবহার সাথে জড়িত। মসজিদের ইমাম জুমাবার খুতবার বয়ানে এই বিষয় নিয়ে মুসল্লিদের সতর্ক করলে আনসার আলী ও তার ছেলেরা মসজিদের ইমামের উপর আতরর্কিত হামলা করে মসজিদ,মাদ্রাসায় তালা মেরে হুজুরকে এলাকা থেকে তারিয়ে দিয়েছে। আমরা মুসল্লিরা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে আমাদের মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হুমকি দেয়। আজ একজন ব্যাক্তির জন্য আমাদের সন্তানরা মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতে পারছেনা। মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারছেনা।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলে, এই মাদ্রাসাটি ছাড়া আমাদের পড়াশুনা করার কোন পথ নেই। অচিরেই মাদ্রাসার শিক্ষদের ফিরিয়ে এনে মাদ্রাসাটি খুলে দেয়ার দাবী জানায়।

স্থানিয় ইউপি সদস্য ফরিদ হাওলাদার ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলছেন, মসজিদের মুসল্লিদের সাথে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম মাষ্টার বলেন, বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য আনসার আলীদের মত লোকরা বার বার চেষ্টা করছে। আমরা এই ধরনের ঘটনাকে কখনোই ছোট করে দেখছিনা। আনসার আলী ও মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনা নিরসনে আমার পরিষদ কাজ করছে। খুব শিগ্রই এর উপুযুক্ত বিচার হবে

SHARE