মনজু ইসলামঃ
ভোলায় মধুমতি ব্যাংক কেলেংকারির ক্ষত না সারতেই এবার ইউসিবি ব্যাংক কেলেংকারিতে আতংকিত হয়ে পরেছেন গ্রাহকরা।
ব্যাংকের একাউন্ট থেকে গ্রাহকের ডিপিএস’র টাকা লুটের ঘটানায় এ আতংক দেখাদেয়। ভোলায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবি) ব্যাংকের গ্রাহকের একাউন্ট থেকে ডিপিএস এর টাকা উধাও এর ঘটনায় দায় সারা জবাব দিচ্ছিন বংকের ম্যানেজার মিজান। ম্যানেজার মিজান ভোলা নিউজকে জানিয়েছেন আমার দুর্নীতির কথা ভোলার সাংবাদিকরা জানে, সেখান থেকে আপনারা জেনে নিন।
শহরের মহাজন পট্টিতে অবস্থিত ইউসিবি ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজারের যোগসাজসে লিনজা আক্তার নামে এক গ্রহকের একাউন্ট থেকে তার স্বাক্ষর জাল করে ডিপিএস’র জমাকৃত এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লিনজা আক্তার ভোলা পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস রোড এলাকার বাসিন্দা।
লিনজা আক্তার অভিযোগ করে জানান, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি ভোলার শহরের মহাজনপট্টি ইউসিবি ব্যাংকের ভোলা শাখায় প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি ডিপিএস হিসেবে খোলেন। শুরু থেকে প্রতি মাসেই তার ডিপিএস এর একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে যান। কিন্তু ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সে একাউন্টে টাকা জমা দিলে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা জমা না রেখে পরবর্তী মাসে আসতে বলে। তারপর জানুয়ারি মাসে ব্যাংকে গেলে তার ডিপিএস হিসেব ক্লোজ হয়েছে গেছে বলে জানায় ব্যাংক কর্মকর্তারা।
পরে লিনজা আক্তার ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে ডিপিএস ক্লোজ হওয়ার কারণ জানাতে চাইলে সে বিভিন্ন কথা বলে তাকে ঘুরাতে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে ব্যাংক থেকে বলা হয় ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এবং আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যাক্তি স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তার অসুস্থতার কথা বলে স্বাক্ষর দিয়ে ডিপিএস এর জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
লিনজা আরো জানায়, আমার ডিপিএস এর টাকা আমাকে না জানিয়ে অন্য কেউ কিভাবে উত্তোলন করতে পারে, সে বিষয়ে আমি ম্যানেজারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সবই সম্ভব। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ইউসিবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি। ম্যানেজার মিউজানের দুর্নীতির বিস্তারিত আসছে….