জসিম রানা-ভোলানিউজ.কম,
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে একাব্বার পন্ডিত বাড়ীতে বহুল আলোচিত একাধিক প্রেম ও বহু বিবাহে অভ্যস্থ জান্নাত বেগম অর্ণি নামে এক দেহ ব্যবসায়ীকে ভূয়া কাবিন করে বিয়ের নাটক করায় এলাকার জনগনের হাতে গণধোলাইর শিকার হয়েছে টাংগাইলের এক লম্পট।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, টাংগাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার, বিষরামপুর, ধুবরিয়া গ্রামের মোঃ হারেছ খানের ছেলে রাজিবের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছাদেক আলী (দানু মিয়ার) মেয়ে জান্নাত বেগমের।
এর সুবাদে রাজিব কিছুদিন পর পর ছাদেক আলীর বাড়ী এসে তার মেয়ে জান্নাতে সাথে রাত কাটাত। এমনকি রাজিবের সাথে তার বিভিন্ন বন্ধুরা ওই বাড়ীতে এসে ছাদেকের ২য় মেয়ে খাদিজা ও তৃতীয় মেয়ে মীমের সাথে আমোদ ফূর্তি করত। এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন ছাদেক আলীকে আপত্তি জানালে সে বলত তারা দুজন স্বামী স্ত্রী। পরে এ বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি হলে, এলাকাবাসী দেখতে পায় জান্নাত ও রাজিবের বিয়ের কাবিনের কাগজপত্র পুরো পুরি ভূয়া। রাজিব বিয়ের সময় তার এলাকার নাছির নামে এক যুবকের জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে কাজি অফিসে জমা দেয়। টাংগাইলের একটি মাধ্যমে এ বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পরে, রবিবার দুপুরে রাজিবকে ছাদেক আলীর ঘর থেকে বেড় করে গণধোলাই দেয়। এ সময়ে স্থানীয়রা লম্পট রাজিবকে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রাখে। পরে জানাগেছে রাজিব কৌশলে ওই ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনগনের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৪সেপ্টেম্বর-২০১৮ইং)