মনজু ইসরাম/টিপু সুরতানঃ
ভোলার ইলিশায় পুরাতন বেড়িবাঁধ কেটে ফেলায় আতংকে রয়েছেন মেঘনা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। ডাল চর, কলাতলির চর, চর জহিরুদ্দিন কুকড়ি মুকরি, ধুবলার সহ সাগর বুকের চরের মানুষ ফেরেনি আশ্রয়কেন্দ্রে, বিপর্যয়ের মধ্য ৩ লক্ষ মানুষ। ভোলায় ১০ নাম্বার বিপদ সংকেত চলছে। আবহাওয়া অফিসের মতে ৭ ফিট জলোচ্ছাস হলে বেড়িবাঁধ কাটা থাকায় ডুবে যেতে পারে মেঘনা পাড়ের ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাড়ি ঘর।
সদর উপজেলার মেঘনা পাড়ের ইলিশা পয়েন্টে পুরোনো বেড়িবাঁধ কেটে ফেলায় মেঘনা পাড়ের মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছেন। ইলিশা জংশনের বাজার ব্যাবসায়ীরা জানান, নতুন বেড়িবাঁধ তৈরী করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড পুরাতন বেড়িবাধ কেটে তার মাটি নতুন বাঁধে দেয়া ও নতুন বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না করতে পারায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ভোলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৬৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছ ৯২টি মেডিক্যাল টিম। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করতে উপকূলে চলছে প্রচারণা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আজ সকাল থেকে বাতাসের বেগ বেড়েছে। চরফ্যাশনে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। পুরো জেলা মেঘাচ্ছন্ন। নদী এবং সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। অনেক জেলে তীরে চলে আসলেও চরবাসীরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি। ঢালচর, কুঁকড়িমুকড়ি,কলাতলির চর, চর জহিরুদ্দিন, ধুবলার চরসহ বিচ্ছিন্ন চরের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার ব্যাপারে কোষ্ট গার্ডের দায়িত্ব রত এক্সও লেপ্টেনেন্ট কমান্ডার নাজিউর রহমান ভোলা নিউজকে বলেন, বিচ্ছিন্ন চরবাসিকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেখানে আমরা বোট পাঠিয়েছি তবে চরের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছেন না। প্রয়োজনে আমরা আরো বোট পাঠাবো।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ভোলা নিউজকে বলেন, বলেন, চরের মানুষ তাদের সহায় সম্বল ও গবাদি পশু রেখে আশ্রয় কেন্দ্র আসতে চাচ্ছেন না। আমরা তাদের নিশ্চিত করেছি তাদের সকল সম্পদের নিরাপত্তা দিবো। আশা করি দুপুরের মধ্যে ই সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবে।
মনিরুল ইসলাম
ভোল-০৯.১১.১৯