ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
ভোলায় মিন্টু পন্ডিতের স্ত্রী হাজেরা বেগম নামের এক নারীকে দুর্বত্তরা হত্যা করে স্বর্ণ অলংকার ছিনতাই। এসময় হাজেরা বেগমের ঘরে থাকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়–য়া রাব্বি (১০) বয়সের নাতিকেও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বত্তরা। ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাজেরার নাতিকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
গতকাল বৃহস্পতবার (২৪জানুয়ারী) রাত ৮টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দধিরাম গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। হাজেরা বেগম (৫০) ওই এলাকার মিন্টু পন্ডিতের স্ত্রী। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় এখন পযর্ন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, রাত ৮টার দিকে ডাক চিৎকার হৈচৈর শব্দ শুনে এগিয়ে যাই। নিরঞ্জন একটি বাসার পাশে লাশটি গলায় কাপড় বাধাঁ। মুখমন্ডলে আঘাতের চিহ্ন। তার স্বামী মিন্টু পন্ডিত পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। ওই বসতঘরে হাজেরা ও তার স্বামী মিন্টু পন্ডিত এবং মেয়ের ঘরের নাতি থাকে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেই।
হাজেরার স্বামী মিন্টু পন্ডিত জানায়, বাড়ির পাশে শাপলা বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুপুরের ভাত খেয়ে দোকানে চলে যাই। বাসায় মেয়ের ছেলে আর স্ত্রী থাকে। রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যেয়ে দেখি নাতি কান্না করছে ঘরের খাটের নিচে। সেখান থেকে নাতি বের করে জিজ্ঞেস করি, কিন্তু ও আমাকে দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে অনেক খোজা-খুজি করেও না পেয়ে, বাড়ির আশে পাশের লোকজন খোজা-খুজি করে নিরঞ্জন একটি ঘরের সামনে হাজেরার গলায় কাপড় পেছানো অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। স্ত্রীর গলায় একটি স্বর্নের চেইন, কানের দুল ছিল এগুলো নাই, নিয়ে গেছে।’
হাজেরার দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে ৫ছেলে এবং ২মেয়ে তারা সবাই ঢাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করে এবং সেখানে বসবাস।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
(আরজে,২৫জানুয়ারী-২০১৯ইং)