টিপু সুলতানঃ
ঘূর্নিঝড় বুলবুলে কোনরকম সাহায্য বা ক্ষতিপুরণ পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন অসহায় আশি বছরের বৃদ্ধ আবদুর রশিদ ।
ভোলা জেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চরমেষ গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ মোঃ আবদুর রশিদ (৮০) ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলেন স্যার আমনেরা কি লোক যাদের ঘর ভাংছে ঘূর্ণী ঝড় বুলবুলে সেই ঘরের লিস্ট করেন?তার ধারে গিয়ে বললাম কেনো চাচা কি হইছে এমন সময়ই পাশে থাকা কয়েকজন লোক এসে বললো অসহায় আবদুর রশিদের কষ্টের কথা । প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবদুর রশিদ দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, সেই ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিলো দুই বছর পূর্বে ছেলেটি মারা যায়,এখন একটি মেয়ে আছে আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য পড়াশোনা করতে পারছে না।তার একমাত্র থাকার মতো আশ্রয় ছোট্ট একটি টিনের ঘর ছিলো, কিন্তু সেই ছোট ঘরটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে তছনছ হয়ে গেছে। কান্না জড়িত কন্ঠে আবদুর রশিদ বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমার কথার কোন সারা দেয়নি, যাদের কোন ক্ষতি না হইছে তারা পাইছে আর আমি কোন কিছু পাই নাই। রশিদ এর স্ত্রী নারগিস বলেন আমি যে আজ ভাত রান্না করে খামু সেই চাউল ও নাই,আমার ঘরে, আমাগো খবর কেউ রাখে না। তুফানে ঘর পড়ে যাওয়ার পর পাশের ঘরে গিয়ে ছিলাম এখন কোন রকম করে থাকি। নারগিস আর রশিদ দম্পতি সরকারের নিকট একটি ঘরের দাবী করেন।
ভেদুরিয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাষ্টার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যাদের রান্না ঘর পড়েছে তারাও চাউল পেয়েছে কিন্তু এই আবদুর রশিদ কে তো আমি চিনি নাই, এক পর্যায়ে তিনি বলেন তাকে একটু আমার কাছে আসতে বলবেন।