বিশেষ প্রতিনিধি-ভোলানিউজ.কম,
ভোলার ধনিয়া গ্রামে একটি বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের পূর্বের শত্রুতার জেরধরে পথরোধ করে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮জুন) রাত ৯টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর ৪নং ওয়ার্ডের সরকারবাড়ীর সামনে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ১০জনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, মোঃ মোস্তফা (৬০), মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫), মোঃ মোসলেউদ্দিন (৪৫), মোঃ শহিদুল ইসলাম(২৫), মোঃ আলামিন (১৬), মোঃ হাসনাঈন (১৪), মোঃ ছগির (৪০) সহ আরো কয়েকজন। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অাহতরা ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যাক্ষদর্শীসূত্রে জানায়, গত কয়েকদিন আগে রাস্তায় গরু বাধাঁকে কেন্দ্র করে মোস্তফা এবং আবু তাহেরের মধ্যে ঝগড়া বিবাধ হয়েছে। ১৯জুন উভয়পক্ষের মধ্যে স্থানীয় পর্যায় বিষয়টি মিমাংসার কথা ছিল।এরই জেরধরে আবু তাহেরের গ্রুপ লোকজনসহ গোপনে রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। আবু তাহেরের বিপক্ষ মোস্তফা ও তার পরিবার একটি বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে আবু তাহের গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। এঘটনায় অনেকজন আহত হয়েছে তারা হাসপাতালে ভর্তি অাছে।
আহত মোস্তফা জানান, কিছুদিন আগে গরু বাধাঁ বিষয় নিয়ে আবু তাহেরের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানিয়েছি। তারা মঙ্গলবার সালিশ করার কথা বলেন। কিন্তু আজ সোমবার আমাদের এক আত্বীয়র বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে পরিবারসহ বাড়িতে ফেরার পথে গতিরোধ দেশীয় অস্র,বগি দাঁ,ছুরি দিয়ে মোঃ সোহেল,রুবেল, টিপু, সুমন, মাকসুদ, জাবেদ, বাবুল, খোরশেদ, সুলাইমান, সাদ্দাম,ইউনুস,সহ ভাড়াটিয়া মাস্তানসহ আমাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার উপরে ফেলে চলে যায়। এরমধ্যে মাকসুদ পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে।
হামলাকারীরা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানায়ায়।
এবিষয়ে, অভিযুক্ত আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৯৩৫-৯৫০৮৮২ একাধিবার চেষ্টা করেও প্রথমে সারা না পেলেও আবু তাহেরের স্ত্রী জানান, আমি কিছু জানিনা। আমি আবু তাহেরের স্ত্রী বলছি, তাহের বাসায় নাই।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শণ করেছেন।
আহতদের কাছে মামলা সম্পর্ক জানতে চাইলে তারা জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৮জুন-২০১৮ই)