ভোলায় বিএনপি নেতা কর্মীদের পদত্যাগ

 

ষ্টাপ রিপোর্টার ।। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র থেকে সদ্য ঘোষিত ভোলা সদর উপজেলা ও পৌরসভার আহবায়ক কমিটি ঘোষণার করায় ভোলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ, সদ্য ঘোষিত সদর উপজেলা কমিটি ও ভোলা পৌর কমিটির মোট ৫৬ জন নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করেন। এদের মধ্যে জেলা কমিটির ২৮ জন, সদর উপজেলার ১১ জন ও ভোলা পৌর কমিটির ১১জন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাব হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মো. মুনতাসির আলম রবিন চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্র থেকে ভোলা সদর উপজেলা ও ভোলা পৌরসভার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট দুইটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে যোগ্য, ত্যাগী ও রাজপথে আন্দোলনকারীদের।বঞ্চিত করা হয়েছে। মূলত বিভাগীয় একজন নেতার কথায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আশা আকাঙ্খাকে পদদলিত করে একটি নিষ্প্রাণ কমিটি দিয়েছে। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা জেলা কমিটির ২৮ জন নেতৃবৃন্দসহ সদ্য ঘোষিত সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির মোট ৫৬জন নেতৃবৃন্দ একযোগে এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাথে সাথে সদ্যঘোষিত কমিটি বাতিল করে ত্যাগী, নির্যাতিত ও আন্দোলন সংগ্রামে যারা ভূমিকা রাখেতে পারে তাদেরকে দিয়ে একটি শক্তিশালী গ্রহনযোগ্য কমিটি দিতে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
জেলার অপর সহসভাপতি এ বি এস সালাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলের কোনো কমিটি ঘোষণা করতে হলে জেলা কমিটির মতামত নিতে হয়। কিন্তু সদ্য ঘোষিত কমিটি গঠনে জেলা কমিটির মতামত নেয়া হয়নি। এমনকি কমিটিতে এমন অনেকে আছেন যারা নিজেরাই পদ চয়নি। এবং কেন্দ্রে বায়োডাটাও পাঠায়নি। এতেই বুঝা যায় এটি একটি কাল্পনিক মনগড়া কমিটি। এছাড়াও কমিটির অনুমোদনে দলের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার নিয়ম থাকলেও এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন দলের সহঃ দপ্তর সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান তসলিম, লুকু চৌধুরী, মীর মোস্তাফিজুর রহমান রনি, আল আমিন মিঝি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেনসহ দলীয় নেতা কর্মীরা।

SHARE