ভোলা নিউজ ডেস্ক।। ভোলায় বাড়ছে ধর্ষণ কিন্তু প্রকৃত ঘটনা উল্টো। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ,পরকিয়া ধর্ষণ,ভালোবেসে ধর্ষণ, লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ। নারীওশিশু আদালতে বিচার প্রার্থীদের মামলা তদন্ত না দিয়ে সরাসরি এফ আই আর দেওয়ায় এভাবে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। গত মে মাসে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। সার্বিক অপরাধ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিগত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ধর্ষণ ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত ঘটনায় রুজুকৃত মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১টি দস্যুতা, ১১টি ধর্ষণ, ৩১টি নারী নির্যাতনসহ ৪টি চুরির মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। আরও রয়েছে ৫৮টি মাদক দ্রব্য আইন ও ১২০টি অন্যান্য মামলা। এতে মোট মামলার সংখ্যা হয়েছে ২২৫। ১৩ জুন দুপুর ১টায় ভোলায় জেলা পুলিশের চলতি মাসের মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয়েছিল এই সভা। ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত ঘটনায় আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা যেন বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে Pro Active Policing বাস্তবায়নে Beat Policing কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।সভায় পুলিশ সুপার Pro Active Policing বাস্তবায়নে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদক, ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ, গুজব রটানো, ডিজিটাল ডিভাইস (বিশেষ করে মোবাইলের প্রতি যুব সমাজের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি), সাইবার ক্রাইম, বাল্য বিবাহ ও কিশোর অপরাধ নিয়ে কথা বলেন।পারিবারিক সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ভোলা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, লঞ্চ টার্মিনালে অতিরিক্ত টোল আদায়, সয়াবিন তেলের মজুদকরণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে পুলিশি কর্মকাণ্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকলকে আইন মান্যকারী সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও অপরাধ সংঘটনের আগেই তা সমাজ থেকে সমূলে উপড়ে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. জহুরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (তজুমদ্দিন সার্কেল) মো. মাসুম বিল্লাহসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআইও-১, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, ইনচার্জ শহর ও যানবাহন শাখা, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।