নুরউদ্দিন আল মাসুদঃ
আজ সকাল ১১ঃ০০ টায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে লালমোহন উপজেলার চরবুথা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন ১।মোঃ সজিব(১৮)২।মোসাঃসাজনা(৫০)৩।মোসাঃ জহুরা (৪৫)৪।মোসাঃ ইয়ানুর(৩৫)। মোসাঃ জহুরা ভোলা নিউজকে জানান “৬.৪০ একর জমি নিয়ে আদালতে একটু মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । তবে ঐ জমির মধ্য রয়েছে ৩ টি পুকুর।আমরা বেশ আগ থেকেই এ জমি ভোগ করে আসছি।আজ বেলা ১১ঃ০০ টার দিকে রাসেল, হারুন,বাবুল,মনজু, মামুন ও তার ক্যডার বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের বাড়ির পুকুরের মাছ ধরে। আমরা বাধা দিলে তারা,ছুরি,বগী,রামদা দিয়ে আমাকে, সাজনা ও ইয়ানুরও ছেলে সজিবকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুত্বর যখম করে।আমরা লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চাইলে তারা আমাদের বাধা দেয়।অতঃপর আমরা এম্বুলেন্স দিয়ে আসার সময় লাহমোহনের আনন্দবাজারে তারা এম্বুলেন্স ভাংচুর করে এবং পুনরায় আমাদেরকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে” আহতদের মুমূর্ষপূর্ন্য অবস্থা দেখে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের কে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।তারা এখন ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ সার্জারি ওযার্ডে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মোসাঃ জহুরা আরো জানান ” আমাদেরকে আহত করার পর আমরা লালমোহন থানার ওসি জনাব খায়রুল ইসলাম কে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের মামলা গ্রহন করেন নি এবং তিনি বলেছেন তিনি এখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত। অপরদিকে আঘাতকারী হারুন ও হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।তাকে এ বিষয়ে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে চরবুথা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব টিটব আহমদ জানান” আমি এক সপ্তাহ পূর্বে দুই পক্ষকে বিচারের জন্য ঠেকেছি।তবে আজ যারা আহত হয়েছেন তারা বিচারে অংশগ্রহন করলে ও অন্য পক্ষ বিচারে অংশগ্রহণ করেন নি।আজ রাসেল,হারুন,বাবুল,মনজু, মামুন ও তাদের ক্যাডার দ্বারা যে নির্মম হত্যাকান্ড তারা চালিয়েছে তা মোটেও কাম্য নয়।