আকতারুল ইসলাম আকাশ, ভোলাঃ
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ মন্নান বকশি (৪৫) ও তাঁর ছেলে আব্দুল রশিদের (২২) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
যা টাকার বিনিময়ে ভিক্টিমকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল।
সূত্র জানা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের একই ওয়ার্ডে মন্নান বকশির বাড়ির পাশের বাড়িতে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন মালদ্বীপ প্রবাসী মো. শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী মোসাঃ মনোয়ারা ( ৩০) বেগম।
স্বামী প্রবাসে থাকায় ৪ সন্তানকে নিয়ে ই দিন কাটছে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের। অবশেষে সেই স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের উপর কু নজর পরে পাশ্ববর্তী বসবাস করা মন্নান বকশির। শুধু মনোয়ারা বেগমের উপর কু নজর দিয়েই ক্ষেন্ত হননি মন্নান বকশি। বাবার কুকর্মের সাথে দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল রশিদেরও কু নজর পরে সেই মনোয়ারা বেগমের বোনের ছেলে কাউসারের উপরও। সেই নরপশু আব্দুল রশিদের বলৎকারের শিকার ও হয়েছেন কাউসারও।
আরো জানা যায়, শুধু কাউসার ই নয়, নরপশু মন্নান বকশির ছোট ছেলেও মাস কয়েক আগে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে স্থানীয় দুই শিশুদেরকে। পরে তা হাতেনাতে ধরা পড়লে স্থানীয়রা তাকে পুলিশেও সোপর্দ করেছেন বলে জানা যায়।
এত অপকর্মের পরেও থামছে না মন্নান বকশির অপকর্ম। অবশেষে গত বুধবার সকালে ও দুপুরে মনোয়ারা বেগমের ঘরে কুকর্ম কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের আলাপ পেয়ে ছিটকিয়ে পরেন তিনি। পরে তা প্রভাবশালীরা ভিক্টিমকে না জানিয়ে ২০,০০০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন।
কিন্তু ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে টাকা না নিয়ে সেই নরপশুকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জন্য শুক্রবার মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভিক্টিম মনোয়ারা বেগম বলেন, কিছু দিন আগেও মন্নান বকশির ছেলে আব্দুল রশিদ আমার বোনের ছেলে কাউসারকে পাশের বাগানে নিয়ে অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করে পরে তা স্থানীয় রফিক তালুকদারকে জানাই আমরা। এতেও কোন বিচার পাইনি আমরা। আমার স্বামী শাহাবুদ্দীন প্রবাসে থাকায় এই সুযোগে মন্নান আমার ঘরে প্রায়ই আসার চেষ্টা করে এবং এসেছেও। আমি ঘুমে থাকা অবস্থায় সে আমার ঘরের সামনে এসে আমাকে ডাকতো। কিন্তু আমি বের হতাম না। গত দুই দিন আগে রাতের বেলায় আমি আমার বাথরুমের কাছে প্রসাব করতে গেলে সে আমার অজান্তে তা লুকিয়ে দেখেছে বলেও সে আমাকে আমার ফোনে কল দিয়ে জানায়। অবশেষে বুধবার সে আমার ঘরে আসলে স্থানীয়রা তাকে দেখলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি শুনি আমাকে না জানিয়ে স্থানীয় বিচারক আব্দুল হক বয়াতি, আলাম পন্ডিত, বাচ্চু সহ আরো অনেকে তা ২০,০০০ হাজার টাকায় মিমাংসা করেছে। আমি আমার ইজ্জত টাকা দিয়ে কিনতে পারবোনা। তাই আমি উচিৎ বিচারের জন্য মামলা দিয়েছি। আইন তার সঠিক বিচার করবে বলে আমি আশাকরি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. ছগির মিয়া বলেন, ভিক্টিমের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।