বিপ্লব ভোলা,স্টাফ রিপোর্টার।।
ভোলার মনপুরায় বহুল আলোচিত মসজিদে নৃশংস শিক্ষক হামলায় ঘটনার ২২ দিন চলে গেল এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি মনপুরা পুলিশ প্রশাসন। বিষয়টি ধর্তব্যরত অপরাধ হলেও তদন্তের নামে নানা অজুহাত দিয়ে এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মনপুরা পুলিশ প্রশাসন।। গত 30জুন বিষয়টি সদয় অবগতি করে, ন্যায় বিচার ও প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ভোলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।।বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর, জানাযায় গতকাল ৪ জুলাই মামলাটি এজাহারভুক্ত করেছেন এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন,তবে মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে পলাতক রয়েছে।
এদিকে বিগত 11 জুন 2021 ইং তারিখে স্থানীয় মনপুরা উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের অলিউল্লাহ মসজিদে শুক্রবার জুমা চলাকালীন সময় সম্পূর্ন পরিকল্পিত ভাবে এই নিঃশংস হামলা চালানো হয় বলে জানাযায়। আহত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হোসেন ও তার পিতা তাজুল ইসলামকে সাথে সাথে মনপুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।। আহত শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন প্রায় ৩ যাবত ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি।।
লিখিত অভিযোগে ভোক্তভোগী তুলে ধরেন পূর্বশত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়।। ৭ জন আসামির মধ্যে পুরো সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব ছিলেন,সন্ত্রাসী শাফায়েত হোসেন।
স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সন্ত্রাসী শাফায়াতসহ সকল সন্ত্রাসীগন প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন,এমনকি আহত শিক্ষক পরিবারকে মামলা উত্তোলনের জন্য নানাভাবে হুমকি ধুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং সন্ত্রাসী শাফায়েত বলে বেড়াচ্ছেন, আমি মনপুরা কোর্টের মুহুরি মামলা উত্তোলন না করলে, আমি কোর্টে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করব আমার মাকে দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পিতা আহত তাজুল ইসলাম ।।
ভুক্তভোগির পিতা আহত তাজুল ইসলাম আরো জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী শাফায়াতের মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নাটক সাজানোর পাঁয়তারা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে ওসি মনপুরা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং আগামী শুক্রবার ওই মসজিদে নামাজ পড়বো, সাংবাদিকগণ দর্তব্যরত অপরাধের কথা বলে প্রশ্ন করলে,ওসি মনপুরা বলেন বিষয়টি দেখবে কোর্ট
পরিকল্পিত ভাবে মসজিদের নারকীয় তাণ্ডবের বিষয়ে মনপুরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আমার কাছে মৌখিক বা লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি,আমি ওসি মনপুরাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করব.
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শাফায়াত কে ফোন করলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দিয়ে,সাথে সাথে মনপুরা কোর্টের নতুন আইনজীবী এডভোকেট রাহাদ পরিচয় অন্য ফোন দিয়ে, সংবাদকর্মীদের তথ্য প্রকাশ না করতে, নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। যে নাম্বারটি হলো,০১৭০৬-৬৮১০৭৬
উল্লেখ্য, ওসি মনপুরা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশ সুপার বরাবর প্রশাসনিক সহযোগিতা ও বিচারের দাবি জানিয়ে চেয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।। অন্যদিকে অভিযুক্ত ১ নং আসামী শাফায়াত হোসেন মনপুরা কোর্টে নবনিযুক্ত এডভোকেট রাহাতের বন্ধু ও মনপুরা কোর্টের লাইসেন্সবিহীন মহরি হয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।। স্থানীয় মসজিদটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন সন্ত্রাসী শাফায়াত হোসেনের পিতা উক্ত মামলার অভিযুক্ত আসামী।।
আসছে বিস্তারিত……. ৪থ পর্বে