এম রহমান রুবেল।।
কেউ বলছে শুয়রের ছানা কেউ বলছে কুকুরের ছানা বিতর্ক যেন থামছেইনা। তবে পশু সম্পদ কর্মকর্তারা ও জেলা প্রশাসন বলছে অবৈধ ছানা। ছানার প্রকৃত মালিকরা বলছেন পিউর নয় ভেজালযুক্ত ছানা। সবাই যখন খারাপ বলছে তখনো সেই ছানা দিয়েই এতোদিন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শিশু খাদ্য ও মিষ্টান্ন তৈরি করে যাচ্ছেন ভোলার ব্যাবসায়িরা। গতকাল ভোলার পশু সম্পদ কর্মকর্তা ও ভোলার প্রকৃত ডেইরী মালিক ও সাংবাদিকরা হাতে নাথে এ অবৈধ ছানা ধরিয়ে দিলেও কোন প্রকার মামলা ছাড়া মোবাই কোর্টে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট। সাংবাদিকদের অভিযোগ তাদোর সরিয়ে দিয়ে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান অবৈধ ছানা মালিকদের সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে বের হয়ে এসে ২০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলে ঘোষপট্রি ত্যাগ করেন। এসময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অফিসে আসতে বলেন।
স্থানীয় ব্যাবসায়ি ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ভোলা সদর রোডের ঘোষপট্টিতে বিএসটিআইর অনুমোদনবিহীন ছানা রাখার দায়ে খাটি দধি ঘোষ ভান্ডার কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ছানা রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা করেছেন।
১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর বিশেষ অভিযান এই জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহদী ম্যাজিষ্ট্রেট আকিব ওসমান, জেলা ভুমি কর্মকর্তা আবি আব্দুল্যাহ,উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন , ঘটনা স্থলে প্রায় ২০০ কেজি ছানা পাওয়া যায় সেই ছানার প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআইর অনুমোদন পাওযা যায় নাই।
তিনি আরো বলেন যশোরের ছানা ব্যাবসায়ীকে ফোন করলে ওই ব্যবসায়ী জানান, এগুলো শুকুরের দুধের ছানা নয় কিন্তু এগুলো বিভিন্ন ভেজাল কম দামি পাউডার, স্যাকারিন ও ময়দা দিয়ে তৈরি করি।
এব্যাপরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আকিব ওসমান সাংবাদিকদেরকে সরিয়ে দিয়ে অবৈধ ছানার মালিকদের সাথে আলাপ আলোনা সেরে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষনা করে দ্রুত ঘোষপট্রি ত্যাগ করেন।