মনপুরা প্রতিনিধি# ভোলার মনপুরার চরফৈজুদ্দীন ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকের স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মনপুরা থানার মামলা নং- জি.আর ০৩/২২ এর মূল আসামি মোঃ বেলালসহ কোন আসামীকে দীর্ঘ ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আদৌ কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। উল্লেখ্য অত্র মামলার বাদী জখমী শিক্ষকের স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে আঘাত করার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে মনপুরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। উল্লেখ্য উক্ত মামলার বিবাদীগণ বিগত দিন থেকে এলাকায় নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তারা এলাকার কোন জনপ্রতিনিধির কোন শালিশ বিচার মানেনা। অত্র এলাকার আশেপাশের প্রায় ৩০-৩৫ জন মানুষের বিরুদ্ধে ৫/৭টি মিথ্যা মামলা দিয়ে অসংখ্য গরিব মানুষকে হয়রানি করিতেছে। উক্ত তাজল পাটোয়ারী ও তার ছেলে বেলাল গংরা অহেতুক এলাকার মানুষের সাথে গালমন্দ করা, জমি দখল করা, মারামারি হানাহানি, জাল দলিল সৃজন করিয়া জমি দখল, মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করা ও ঝামেলা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা তাদের নেশা ও পেশা। অতীতের কোন জনপ্রতিনিধিগণও তাদেরকে কোনরূপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়নি। গত ৪ মাস পূর্বে উক্ত বেলাল গংরা মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করায় এলাকার মুসল্লীদের সাথে মারামারিকে কেন্দ্র করে তাদেরকে এলাকার সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের এহেনও কার্যকলাপের ফলে বর্তমানে আশেপাশের কোন সমাজে তাদের জায়গা হয়নি। বিষয়টি মনপুরা উপজেলা উর্ধতন মহলের সকলেই অবগত আছেন। ভুক্তভোগীরা তাদের অপকর্মের সঠিক বিচার দাবি করছে এবং দ্রুত উর্ধতন মহলে কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করছে।
বিষয়টি নিয়ে মনপুরা উপজেলা ইনচার্জ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আসামিরা পালাতক আছে। গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত।
বিষয়টি নিয়ে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমরা অবগত আছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় হাজীরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান উক্ত মোঃ বেলাল গংরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।