ভোলায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি: ক্যামেরা ও মটরসাইকেল, টাকা ছিনতাই ॥ আটক-১

 

স্টাফ রিপোর্টার!
ভোলার যুগিরঘোলে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ক্যামেরাপার্সন ও বিকাশ অফিসের স্টাফের উপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা, মটরসাইকেলসহ বিকাশের টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় উজ্জল নামের একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জুলাই) বেলা প্রায় ১২টার সময় সদরের যুগিঘোল চত্তরে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ক্যামেরাপার্সন আবুল হাসনাত বলেন, আমি এশিয়ান টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি মোঃ বিল্লাল হোসেনের ক্যামেরাপার্সন এবং তার ছোট ভাই কায়েস ভোলায় বিকাশ কোম্পানীতে চাকুরী করে। প্রায় প্রায় এক বছর পূর্বে নিজেদের একটি মোটরসাইকেল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই। ঐ সময় যুগিরঘোল এলাকার ছিনতাইকারী অটল তাদের মটর সাইকেলটি কম দামে ক্রয় করতে প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু ছিনতাইকারী অটল কম দামে মোটরসাইকেল ক্রয় করে টাকা দিবেনা জানতে পেরে মোটরসাইকেলটি অন্যত্র বিক্রয় করে দেই। এরপর থেকে আমি ও কায়েস যুগিরঘোল এলাকা হয়ে শহরে যাওয়ার সময় প্রায় দিনই পথিমধ্যে ছিনতাইকারী অটল কিছু নেশাখোরদের নিয়ে আমাদের পথরোধ করে চাঁদা চাইতো। বিষয়টি আমরা প্রথমে অটলের অভিভাবককে জানাই। এরপর অটল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করে। ৩/৪ মাস পূর্বে বিষয়টি দলীয় নেতাদেরকে জানাইলে তারাও অটলের বড় ভাই মিমাংসার জন্য উজ্জলকে দায়িত্ব দেয়। এরপর উজ্জল তার ছোট ভাই অটলকে চাঁদাবাজি দাবিতে নিষেধ করে। কিন্তু এই নিষেধ উপেক্ষা করে বুধবার (১৫ জুলাই) বেলা প্রায় ১২টার সময় আমি ও ভাই কায়েস রতনপুরস্থ বাড়ি থেকে মটরসাইকেল যোগে শহরে উদ্দেশ্যে রওনা করি। যুগিলঘোল এলাকায় পৌছলে স্থানীয় ছিনতাইকারী অটল, রায়হান, হান্নান ও তার বাহিনী আমাদের গতিরোধ করে। এরপর আমাকে ও কায়েশকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা আমার সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোটর সাইকেল এবং কায়েশের সাথে থাকা বিকাশের প্রায় এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধিকে জানাই। তিনি এসপি স্যারকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশের একটি মোবাইল টিম পাঠিয়ে আমাকে ও কায়েশকে উদ্ধার করে এবং অটলের ভাই উজ্জলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় প্রায় অর্ধশতাধীক ভূক্তভোগী জানায়, অটলের নেতৃত্বে তার বাহিনী যুগিরঘোলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। এরা বখাটে বলে কেউ তাদেরকে কিছু বলতে সাহস পায়না। ছিনতাইকারী অটল শহরের রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, অটলকে কয়েকবার চাঁদাবাজিতে নিষেধ করি। কিন্তু সে কোন মতেই এই অপকর্ম থেকে ফিরে আসছে না। এসব ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বিচাবের আওতায় এনে নিরীহদেরকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সুশিল সমাজ।
ভোলা থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, সংবাদিকদের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশের মোবাইল টিম পাঠিয়ে উজ্জল নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়ে। মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাৎক্ষনিক তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নাই। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

SHARE