ভোলায় পূর্বের শত্রুতার জের ধরে বসতঘরে হামলা আহত ২৩

মনজু ইসলাম, /রাসেল,/আমজাদঃ

দেশে যখন মহামারী করোনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানে নজির বিহীন কিছু ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। এমনটি দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চন্দ্র প্রসাদ গ্রামে। গত রোববার (২০ এপ্রিল) সন্ধা ৭ টায় সামান্য ইট উঠানোকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আবার কেউ কেউ বলছে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িঘরে হামলা করা হয়। এতে প্রায় ৪ টি বাড়ির ১৩ ঘর ভাংচুর করা হয়, এবং এ হামলায় আহতো হয়েছেন ২৫ জনের অধিক।আহত ৫জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গুরুতর অবস্থায় মাকসুদ্দিন নামে একজনকে বরিশাল পঠানো হয়।

এ ঘটনায় ক্ষতি গ্রস্থদের মধ্যে একজন জানান, স্থানীয় ইয়ার খানের দলবল সহ নেক্কারজনক হামলার তান্ডব চালানো হয়।এতে করে প্রায় ৫০ লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তিনি আরো বলেন,ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দের কারণেই ইয়ারখান আমাদের উপর হামলা চালায়। চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক লিটন মালের ইন্দনেই হামলা করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ইব্রাহিম নামে একজন বলেন, গতকাল সন্ধ্যা আমাদের বাসার পাশে থাকা কাওসার গাজি নামে একজন ব্যক্তি টলার থেকে ইট উত্তোলনের জন্য আমাদের বলেন। ইট উঠাতে গেলে ইয়ার খান নামে এক ব্যক্তি ইট উত্তোলনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ইয়ার খানের সাথে কথার কাটাকাটি হলে তার দলবল নিয়ে বাড়িঘরে হামলা চালায় এতে আমাদের পরিবারের ১৩টি ঘর ভাঙচুর করা হয়।

কাওসার গাজি নামে একজন বলেন,গতকাল আমার বাসার ইট টলারে করে আনা হয়।টলার থেকে উত্তোলনের জন্য ইব্রাহিম সহ বেশ কয়েকজনকে বলা হলে তারা ইট উত্তোলনে রাজি হয়। ইট উঠাতে গেলে ইয়ার খান ও তার লোকজন বাধা দেয়। একপর্যায়ে ইয়ার খানের সাথে কথা কাটাকাটি হলে তার লোকজন হামলা শুরু করেন। এ হামলায় ইব্রাহীমসহ মোট ১৩ টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর করা হয়।তিনি আরো বলেন, হামলার কথা শুনে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মহাসিন খাঁ আসলে তাকেও আঘাত করা হয়।

ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মাল বলেন,সন্ধ্যায় যখন চেয়ারম্যানসহ আমরা পরিষদের কাজ করছি। ঠিক সেই মুহুত্বে আমাদের কাছে মারামারির খবর আশলে চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়।চেয়ারম্যান না গেলেও আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে বাড়িঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখতে পাই। আমার নামের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই অভিযোগ করা হয়। প্রশাসনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

এ হামলার ঘটনায় ইয়ার খানদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি।এবং তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যানি।

এ বিষয় ভেলুমিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আরমান হোসেন জানান, বাড়ি নির্মাণ জন্য কাওসার গাজী ক্রয়কৃতি ইট টলার থেকে উত্তোলনে বাধা দেয় ইয়ার খান, বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।এ হামলার ঘটনায় রাতেই একজনকে আটক জরা হয়।তিনি আরো বলেন,সকালে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

SHARE