মাসুদ রানা প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেসব থানা এরিয়াগুলো আয়তনে অনেক বড় এবং থানা থেকে অনেকটাই দূরবর্তী এলাকা ঐ সমস্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পরে এবং জনসাধারণকে আইনি সেবা দেওয়াটাও কঠিন ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। তাই পুলিশ বাহিনী জনসাধারণকে সেবা দেওয়া জন্য থানা থেকে দূরবর্তী এলাকায় স্থাপন করে পুলিশ ফাঁড়ি। যাতে ঐ এলাকার জনসাধারণ শান্তিতে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারে এবং আইনি সেবা পায়।তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের প্রয়োজন পরে হাকিমউদ্দিন এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার জন্য। যখন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগন ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য জায়গা খোঁজাখুঁজি করছেন ঠিক তখনি এসে হাজির হন টগবী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট দানবীর হিসাবে পরিচিত মরহুম আলমগীর মিয়ার দুই ছেলে তানবীর ও তানজিল। তারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে ৩২ শতাংশ জমি নিঃস্বার্থভাবে দান করেছেন, একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার জন্য। যাতে এলাকার মানুষ আইনি সেবা পেতে আর দুরে যেতে না হয় এবং বিভিন্ন অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। জানা যায়, মরহুম আলমগীর চেয়ারম্যান তার জীবন দশায় আত্মমানবতার সেবায় একটি হাসপাতাল ও ইউনিয়ন পরিষদ করার জন্য জমি দান করেছিলেন, একজন দানবীর পিতার ছেলে হিসাবে তার মতোই মানবতার পরিচয় দিলেন তার ছেলেরা। আজ বুধবার (২০জানুয়ারী২০২১) মির্জাকালু পুলিশ ফাড়িঁ স্থানান্তর করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করলেন টবগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহুরম আলমগীর মিয়ার বাড়ীর সামনে টগবী ১নং ওয়ার্ডে।ফাড়িঁর জায়গাটি পরিদর্শন করেন বরিশাল রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি এহসানুল হক,ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার,বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজহারুল আমিন বিপিএম, মির্জাকালু ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম, বোরহানউদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সমাজ সেবক টবগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, হাসান নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার, জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম বোরহানউদ্দিন শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন নয়ন সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।