আল-আমিন এম তাওহীদ-ভোলানিউজ.কম,
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে পারিবারিক কলহলে মহিলা সংরক্ষিত সদস্য কানন বেগমের নেতৃত্বে ৬জনকে পিঠিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল তজুমদ্দির উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এঘটনাটি ঘটে। এ হামলায় ৬জন আহত হয়। প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, শুক্রবার বিকেলে তোফাজ্বল.নুরে আলম, তৈয়ব, আইউব আলী, ভাই ভাই পারিবারিক ঝগড়া করে। কিছুক্ষন পর মহিলা মেম্বার কানন বেগম কিছু লোকজন নিয়ে তোফাজ্বল ,নুরে আলম, তৈয়ব, আইউব আলীর উপর হামলা চালায়।
আহতদের সূত্রে জানায়, আমরা ভাই ভাইর মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া হয়। এরমধ্যে শম্ভপুর ইউনিয়নের মহিলা সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাকন বেগম ও তার স্বামী জামাল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে সালিশ বিচারের নাম দিয়ে আমাদের কাছে টাকা চায়। এলাকার মধ্যে মহিলা মেম্বার সালিশ বিচারের নাম দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
আহতরা আরো অভিযোগ করে বলেন, এসময় ওই মেম্বারের নেতৃত্বে জালিল, জাকির, সিরাজ, ভুট্রাসহ কয়েকজন বাড়িঘর লুটপাট করে এবং হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।
আহতরা হলেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা তোফাজ্বল হোসেন (৬৫), নুরে আলম (৪০) পিতা: তোফাজ্বল, তৈয়ব (২৬) পিতা: নুরে আলম, আইউব আলী (২২) পিতা নুরে আলমসহ আরো কয়েকজন।
এবিষয়ে মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার কানন বেগম ও তার স্বামী জলিলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৭২৭৭২৫৩৮১ কথা হলে তিনি জানান, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ আমিও তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি আছি। সালিশ বিচারের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান কানন ও তার স্বামী জামাল।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহতরা।
(আল-এম, ১৫সেপ্টেম্বর-২০১৮ইং)