আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলানিউজ.কম,
ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আ.লীগের প্রার্থী নির্বাচনী গণসংযোগে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, ২০টিরও বেশি মোটরসাইকেল ভাংচুর অগ্নিসংযোগ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন আ.লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল।
রবিবার (১৬ডিসেম্বর) সকালের দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানান, সকালে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটে আসে। লঞ্চঘাটে পৌছানোর আগেই টবগী ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ চলছিল। এসময় বিএনপি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এসময় ২০টিসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ৫টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে আ.লীগ-বিএনপি দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। হামলায় আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ও বোরহানউদ্দিন এবং ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিএনপির প্রার্থী পুলিশি নিরাপত্তায় লঞ্চঘাটে পৌঁছলে বাসায় যান।
এঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রার্থী দীর্ঘদিন পর এলাকায় আসায় শান্তির জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তিনি কয়েক শত বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। বোরহানউদ্দিন আসার আগেই দৌলতখান লঞ্চঘাট থেকে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন ও সিইসি এবং সাংবাদিকদের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছেন।
বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন বোরহানউদ্দিনে নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাটে জড়ো হলে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ১২ জন আহত হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোন রিসিভ করেনি।
(আল-এম,